3:20 pm , August 28, 2019

কলাপাড়া ও কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়ার মহিপুর থানার লক্ষ্মী বাজারের টলশেট এবং জমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আ. রশিদ সরদার দখল করে নিয়েছে। লক্ষ্মী বাজারের মাছ ও সবজি বিক্রেতাদের জন্য নির্মান করা টল ঘরে গবাদি পশু পালন করছে ওই আওয়ামী লীগ নেতা। এর ফলে সাপ্তাহিক বাজার শনিবারে ব্যবসায়িরা বেচা-বিক্রি করছেন রাস্তার ওপর বসে। একই সঙ্গে বাজারের জমি দখল করে ওই নেতা একটি পাঁকা ভবন নির্মান করছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়ামিশ্রিপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ডেও সভাপতি কর্তৃক সরকারি জমি সম্পত্তি দখলের বিষয়ে দির্ঘদিনেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছে না সংশ্লিস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এতে সরকারের দূর্নীতি বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে কৌশলে। এমনটি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন দেখাগেছে, লক্ষ্মী বাজারের প্রান কেন্দ্রে মাছ ব্যবসায়িদের জন্য নির্মান করা সরকারি টলঘরটি পুরোপুরি দখল করে ধানের খরের স্তুপু (কুটা) তৈরী করার পাশাপাশি ৫/৬টি গরু পালন করে টলঘরটি গোয়াল ঘরে পরিনত করে নিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আঃ রশিদ সরদার। পাশের অপর একটি টল সেটা দখল করে গরু পালন করছেন জালাল হাওলাদার নামের অপর এক ব্যক্তি। গবাদি পশুর বর্জের দূর্গন্ধে পুরো বাজার এলাকা ছেয়ে গেছে। টল ঘরের দক্ষিণ পাশে বিশাল এলাকা নিয়ে একটি পাঁকা ভবন নির্মান করছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা আঃ রশিদ সরদার। টলঘর দখল করে গবাদী পশুর খামার নির্মান এবং পাঁকা স্থাপনা নির্মান বিষয়ে আঃ রশিদ সরদার বলেন, আমার ঘর ও গোয়াল ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তুলছি। তাই গরু গুলো এই টলের মধ্যে রেখে পালন করছি। বাজারের দিন শনিবারে এই টলে দোকানীরা বসে না বিধায় এখানে গরু পালন করছি। সরকারি জমিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান বিষয় তিনি বলেন, আমি এখানে ৪০/৫০ বছর ধরে থাকছি। সরকারের কাছ থেকে জমির ডিসিআর নিয়েছি। তবে তিনি তা দেখাতে পারেননি। সরকারের জমিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মানের অপর একটি টল ঘর দখল করে গরু পালন কারী জালাল হাওলাদার বলেন, আমার নিজস্ব গরুর খোয়ার আছে সেখানে গরু পালন করি। তবে এই টলে বেশি গরু পালন করি না। দু’একটি পালন করি। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বিগত তিন বছর ধরে বাজারের শেট টি দখল করে নয়ামিশ্রিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভপতি প্রভাব খাটিয়ে আ. রশিদ সরদার গবাদি পশু পালন ও খড়-কুটা রেখে আসছে। তিন মাস আগে বাজারের সরকারি জায়গায় থাকা তার ঘরটি ভেঙ্গে চার তলা ভবনের ফাউন্ডেশন করে একটি বিশাল ভবন নির্মান করছেন। সে লক্ষ্মী বাজাওে জোরজবরদস্তি এবং আধিপত্ত বিস্তার করে বাজারের সরকারি জমি ভোগদখল করছে। তার মতো আরো একাধিক দখলদার রয়েছে। তারাও তার পথ অনুসরণ করছে। এতে লতাচাপলী, ডালবুগঞ্জ এবং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটি এখন দখলদারদের দখল-দূষনে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। এব্যাপারে লক্ষ্মী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি লতাচালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার মোল্লা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কারনে এলাকার বাইরে ছিলাম। বাজারের টলঘর দখল করে গরুর খোয়ার স্থাপন কারীকে গরুসহ সকল খড়কুটা অপসারনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি। তবে পাঁকা স্থাপনা বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কলাপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস বলেন, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মী বাজারের অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে টলঘর উদ্ধার ও সরকারি জমিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান কারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। দখলদার উচ্ছেদের জন্য কেস প্রস্তুত করে শিগ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে