নগরী থেকে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক-২ নগরী থেকে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক-২ - ajkerparibartan.com
নগরী থেকে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক-২

3:07 pm , August 28, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরী থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার পিস ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোর ছয়টার দিকে নগরী এবং সদর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে ওই পরিমান ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যা কিনা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত সব থেকে বড় চালান এবং সব থেকে বড় সাফল্য। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার নগরীর আমতলার মোড়স্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এ কথা জানিয়েছেন। আটককৃতরা হলো- নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার বাসিন্দা মৃত গাজী আব্দুলমান্নান এর ছেলে গাজী মাকসুদুল আলম ওরফে নান্টু (৪২) এবং তার সহযোগী ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের কাজী মো. শাহীন এর ছেলে ইমদাদুল হক রাজন কাজী (২২)। তবে এই ঘটনায় আরো দুই মাদক ব্যবসায়ী পলাতক রয়েছে। এরা হলো- জাহিদ ও সজল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তাই তদন্তর স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী গাজী মাকসুদুল আলম নান্টু এর গতিবিধির উপর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত ছিলো। কিন্তু সে পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে গাঁ-ঢাকা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই সমিরন মন্ডল ও এএসআই সুমন সহ পুলিশের একটি চৌকস টিম সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর সংলগ্ন ডিংগামানিক গ্রামের মৃত গাজী আব্দুল মান্নান এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মাদক স¤্রাট গাজী মাকসুদুল আলম নান্টুকে গ্রেফতার ও তার কাছ থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ৬টার দিকে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় নান্টুর সহযোগী জাহিদ ও সজল এর বাসায় অভিযান চালায় পুলিশের ওই টিম। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাহিদ ও সজল পালিয়ে যায়। পরে ঘরে তল্লাশী করে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং তাদের সহযোগী ইমদাদুল হক রাজন কাজীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার আরো জানান, থানার রেকর্ড অনুযায়ী নান্টু দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। সে এক সময় কলেজ এভিনিউ এলাকার তার নিজ বাসায় বসবাস করত। পুলিশ তার তথ্য জানার পর সে গা-ঢাকা দেয়। নান্টু ইয়াবা ব্যবসা করে নামে-বেনামে অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছে। তাছাড়া ১৯৯৫ সালে আলোচিত স্মৃতি কনা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় দোষীসাব্যস্ত হয়ে ১০ বছর কারাগারে ছিলো। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পূনরায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে নান্টু। তার বিরুদ্ধে আরো ৩টি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় নান্টু ও ইমদাদুল হক রাজন কাজী ও পলাতক দু’জন সহ চারজনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া মাদকের চালানটি কে এনেছে সেটাও এরই মধ্যে জানাগেছে। তাকে সহ পলাতক সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হবে। তাছাড়া মাদকের সাথে অন্য কেউ জড়িত থাকলেও সে যেই হোক না কেন তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT