3:42 pm , August 27, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাজারে বিক্রি হওয়া দি ক্রিসেন্ট সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ উদপাদিত ‘মধুবন সুপার’ লবনে ভেজাল পেয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। এজন্য ভেজাল লবন বিক্রির অপরাধে নগরীর একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ এনামুল হক বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। বিচারক কবির উদ্দিন প্রামানিক মামলাটি শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন। মামলার বাদী সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ এনামুল হক জানান, চলতি বছরের ৪ঠা জুলাই নগরীর বাজার রোডের পিয়াজপট্টি এলাকার দুটি পাইকারী মুদী দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এসময় সেখানকার হক ব্রাদার্স নামক পাইকারী মুদি দোকান থেকে মধুবন ও পাশর্^বর্তী অপর একটি দোকান থেকে টাকা লবন সংগ্রহ করে তা মান নির্নয়ের জন্য পরীক্ষা করতে ঢাকা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠির দি ক্রিসেন্ট সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ‘মধুবন সুপার’ লবনে আয়োডিনে ভেজাল ধরা পড়ে। সৈয়দ এনামুল হক জানান, আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী লবনে সর্বনিম্ব ২ দশমিক ০ লক্ষাংশ থেকে ৫ দশমিক ০ লক্ষাংশ আয়োডিন থাকতে হবে। কিন্তু ‘মধুবন সুপার’ লবনে সর্বোনিম্ম ৫ দশমিক ৫০ লক্ষাংশ আয়োডিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘এ কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নির্দেশনায় ভেজাল লবন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান নগরীর বাজার রোডের হক ব্রাদার্স এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আয়োডিনের অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন ১৯৮৯ এর ৯ ধারা মোতাবেক দায়েরকৃত মামলায় প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে মেহেদী হাসানকে আসামি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মধুবন লবনের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি বিসিক এর দি ক্রিসেন্ট সল্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সত্ত্বাধিকারী সোহেল আহমেদ বলেন, আমাদের পণ্যে কোন ভেজাল নেই। সরকারের দেয়া প্লান্ট অনুযায়ী মেশিনের মাধ্যমে লবনে আয়োডিন করা হয়। তাছাড়া প্রতি দু’দিন পর পরই বিসিক কর্তৃপক্ষ আয়োডিন পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। কখনই তারা লবনের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিএসটিআই একাধিক পন্যের মান নির্নয় করে ৫২টি পন্যে ভেজাল পেয়েছে। যার মধ্যে ঝালকাঠির ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তখন আমার প্রতিষ্ঠানের ‘মধুবন সুপার সল্ট’ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাতে কোন ভেজাল পায়নি। যে কারনে বিএসটিআই এর বাইরে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান আমার লবনের মান নির্নয় করে থাকলে সেটা কতটুকু সঠিক হয়েছে সে বিষয়টিও বুঝতে হবে। তবে মামলা বা লবন পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে আগে পরে আমার কিছুই জানা নেই।