3:13 pm , August 25, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অবশেষে ঘুম ভাঙল সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা কর্তৃপক্ষের। ব্যাংকের পাশে দীর্ঘ বছর ধরে জমিয়ে রাখা মশা বংশ বিস্তারের আস্তানা ধ্বংস করেছে তারা। যেখানে বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছিলো মশার বংশ বিস্তার। ডেঙ্গু প্রতিরোধে চলমান সামাজিক আন্দোলনে নিজেদের জাহির করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মশার আস্তানা ধ্বংস করেছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, নগরীর সদর রোডের কাকলির মোড় সংলগ্ন বগুরা রোডে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আগমণ ঘটছে। তাই মানুষের চাপ সামালাতে গিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুলে যান পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অপরিচ্ছন্ন মনভাবের সুযোগে কর্পোরেট শাখার পাশর্^বর্তী বিশাল অংশ জুড়ে সৃষ্টি হয় ময়লার ভাগার। যেখানে গড়ে ওঠে মশার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ঘাটতে থাকে মশার বংশ বিস্তার। পরিচ্ছন্নতা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা সত্বেও বছরের পর বছর ব্যাংকের পাশর্^বর্তী ওই ময়লার ভাগার উচ্ছেদে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে।
তবে সম্প্রতি সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঠেকাতে দেশ জুড়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরই সামিল হয় সামাজিক এই আন্দোলনে। তারই অংশ হিসেবে অনেক দেরী করে হলেও মশা প্রতিরোধে সামাজিক সেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখা কর্তৃপক্ষ। এই আন্দোলনে নিজেদের জানান দিতে গতকাল শনিবার ব্যাংকের পাশর্^বর্তী ও ময়লার ভাগার ও মশার আস্তানা ধ্বংস করেছে তারা।
সকাল ৯টার দিকে ৪-৫ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হয় ময়লার ভাগার ও মশার বংশ বিস্তারস্থল। যা শেষ করতে দিন কেটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা যখন ময়লার ভাগারে প্রবেশ করতেই মশার কবলে পড়েন। মুহুর্তের মধ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে আশে কোটি কোটি মশা। যা দেখে হতবাক হন স্বয়ং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ বাসিন্দারা। বছরের পর বছর ধরে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা তাদের ক্ষুব্ধ করে।
সোনালী বাংক বরিশাল কর্পোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আবু সাঈদ পরিচ্ছন্নতার কাজে নিজেদের ব্যর্থতার কথা মেনে নেন। বলেন, এটা ঠিক হয়নি। আরো আগেই বাংকের পাশর্^বর্তী এই ময়লার ভাগারটি ধ্বংস করা উচিৎ ছিলো। তবে এখন থেকে বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।