3:11 pm , August 25, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বেয়াদব খ্যাত ও মাদকাসক্ত অফিস সহায়ক আল মামুন মূসা ওরফে গালকাটা মামুন সহ তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪২ জন চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সাক্ষরীত হাস্তেলেখা একটি অভিযোগপত্র ডাক যোগে অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগে গালকাটা মামুন সহ মাদকাসক্ত তিন কর্মচারীর বিচার দাবী জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর দুই কর্মচারী হলেন- শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক মো. ইউসুফ মোল্লা মিলন। তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ও বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে।চলতি বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহা-পরিচালক বরাবর প্রেরিত ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে ‘শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অফিস সহায়ক মো. আল মামুন মূসা ওরফে গালকাটা মামুন, অপর অফিস সহাকয় ইউসুফ মোল্লা মিলন ও ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম। এরা তিনজন একে অপরের যোগসাজসে হাসপাতালে ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। লাশ নিয়ে বানিজ্য, টাকার বিনিময়ে কর্মচারীদের রোস্টার বানিজ্য, হাসপাতালে আগত কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ, সাধারণ কর্মচারীদের মারধর সহ লাঞ্ছিত করছে তারা। বিশেষ করে নতুন চাকরি হওয়া অফিস সহায়ক আল মামুন মূসা ওরফে গালকাটা মামুনের নামে হত্যা চেষ্টা সহ ৫-৬টি মামলা রয়েছে। যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া গত এক বছর পূর্বে হাসপাতালের সরকারি ওষুধ চুরি মামলার সাথে জড়িত ছিলো। ওই মামলায় তার মা এমএলএসএস সেফালী বেগমও জড়িত রয়েছে। ওই মামলাটিও এখনো বিচারাধীন। মামুন ও মিলন অফিস সহায়ক হলেও তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলামের সহযোগিতায় তারা মাস্টার অফিসের একটি কক্ষ দখল করে সেখানে মাদক সেবনের আস্তানা বানিয়ে রেখেছে। তাছাড়া মিলন কোন প্রকার দায়িত্ব পালন না করেই মাস শেষে সরকারের হাজার হাজার টাকা লোপট করছে।লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মাদকাসক্ত মামুন সহ তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। তাই তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে। এদিকে বিগত এক মাস পূর্বে ডাক যোগে লিখিত অভিযোগপত্রটি প্রেরণ করা হলেও উর্ধ্বতন মহল থেকে এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের অনুলিপি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে পৌছেনি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।