3:07 pm , August 25, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে কলেজে যাবার পথে এক ছাত্রীকে শ্লিলতাহানী ও গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সাহসিকতার কারনে গণধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই তরুনী। এই ঘটনায় ছয় বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে মুলাদী সৈয়দ বদরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারজানা মিম বাদী মামলাটি দায়ের করেন। মিম বাটামারা ইউনিয়নের পূর্ব তয়কা গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে। এর আগে গতকাল ২৪ আগস্ট সকাল ১১টায় মুলাদী উপজেলার শফিপুর ইউনিয়নের বোর্জমোহন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুলাদী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- শফিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজুল সরদার, সাগর, সালাউদ্দিন, রাজিব, ফয়সাল ও কাওছার হোসেন। এরা শফিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াতলী ও বোর্জমোহন গ্রামের বাসিন্দা। এদের কাউকে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আউয়াল মামলার বরাত দিয়ে বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রী নিজের বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কলেজে যেতে হলে স্থানীয় শফিপুর খেয়াঘাটে ট্রলার পার হয়ে যেতে হয়। কিন্তু কলেজ ছাত্রী শফিপুর খেয়াঘাটে পৌছাবার আগেই ট্রলার ছেড়ে দেয়। এসময় ঘাটে অবস্থানরত আজিজুল সরদার, সাগর ও সালাউদ্দিন কলেজ ছাত্রীকে তাদের সাথে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে বোর্জমোহন এলাকায় পৌছে আজিজুল তার নানুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে নানা বাড়ির পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আজিজুল, সাগর, সালাউদ্দিন, রাজিব, ফয়সাল ও কাওসার মিলে তাকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সাহসিকতার কারণে বেঁচে যান কলেজ ছাত্রী। শ্লিলতাহানীকালে কলেজ ছাত্রী ডাক চিকিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। তখন বখাটেরা ঘটনাস্থল হতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে কলেজ ছাত্রী বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি অবহিত করেন। মুলাদী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, শনিবার রাতে কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর পর পরই পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমে পড়েছে। খুব শিঘ্রই আসামিরা গ্রেফতার হবে বলে আশাবাদী ওসি।