3:08 pm , August 25, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতার মেয়ে সহ দুই সমকামী তরুনীকে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করেছে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার শাহমখদুম থানাধীন নওদা পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) তাদের দু’জনকে আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ওই দুই তরুনী নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় সেই সময়ে তিনজনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন এক তরুনীর বাবা ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’রআহ্বায়ক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মিয়া। এরা হলেন- বরিশাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপুর সড়কের রাজিয়া ম্যানশনের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ফাহমিদ আজমিন তামান্না (১৬) ও বিএম কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী নাসির উদ্দিনের কণ্যা তামান্না আক্তার (১৮)। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আল মামুন জানান, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আগরপুর রোডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের আমজাদ মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আ. রহমান দুলাল ফকিরের ছেলে উজ্জল হোসেন রানা, স্ত্রী আলেয়া বেগম ও মেয়ে জামাই মো. মাসুমকে অভিযুক্ত করা হয়। এমনকি অপহরণ মামলায় প্রধান আসামি উজ্জল হোসেন রানাকে গ্রেফতারও করা হয়। এসআই মামুন বলেন, গত চার মাস ধরে বিএনপি নেতার মেয়ে সহ অপর তরুনী নিখোঁজ ছিলো। পরবর্তীতে তাদের সন্ধান নিশ্চিত হতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেন। এতে ওই দুই তরুনীর অবস্থান রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় নিশ্চিত হওয়া যায়। পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই ফিরোজ আল মামুন এর নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম শনিবার দিনভর রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে সেখানকার শাহমখদুম থানাধীন নওদা পাড়া এলাকায় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর মালিকানাধীন বাড়ী থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করা হয়। এসআই মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত তরুনীরা স্বীকার করেছে যে তারা অপহরণ হয়নি, সমকামী ওই দু’জন তরুনী স্বেচ্ছায় পালিয়ে গিয়েছিলো। এমনকি দু’জন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নামের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছিলো। অপহরণ মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছে তরুনীরা। ফিরোজ আলম মামুন বলেন, রোববার সকালে দুই তুরুনীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকেদের খবর দেয়া হয়েছে। তাছাড়া দুপুরে তাদের দু’জনকে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেন। জবানবন্দি গ্রহন শেষে তাদের পিতামাতার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।