3:45 pm , August 24, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিএনপি মনে রাখল না বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচএম সালেহ আহমেদকে। নিরবেই কেটে গেছে প্রবীন এই বিএনপি নেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হলেও খোঁজ নেননি বিএনপি একটি কর্মীও। অথচ এক সময়ে জেলা বিএনপি’র সাবেক এই সিনিয়র সহ-সভাপতি’র ডাকে কেপে উঠতো রাজপথ। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল জেলা এবং উপজেলায় পর্যায়ে বিএনপি’র নাম-ডাকওয়ালা একজন নেতা এএইচএম সালেহ উদ্দিন। যিনি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিএনপি’র একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বানারীপাড়ায় জন্ম নেয়া এএইচএম সালেহ উদ্দিন বিগত ওয়ান এলেভেনের সময় বরিশাল জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এর আগে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতিও ছিলেন সালেহ আহম্মেদ। সর্বশেষ বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা পদে থাকাবস্থায় ২০১৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সে অনুযায়ী গতকাল ২৪ আগস্ট ছিলো তার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী।
সালেহ আহমেদ এর ছেলে মাহমুদ শাহরিয়ার বাপ্পি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে সালেহ উদ্দিন আহমেদ এর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক এটাই যে সালেহ উদ্দিনকে মনে রাখেনি বরিশাল জেলা বা মহানগর বিএনপি। তার মৃত্যু বার্ষিকীতে বিএনপি বা তার অঙ্গ সংগঠন কোন আলোচনা বা দোয়া মোনাজাতের আয়োজনও করেননি। এমনকি তার খোঁজ খবর নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি কোন নেতা-কর্মী।
শুধু সালেহ আহমেদকেই নয়, মনে রাখেননি তার পরিবারকেও। সালেহ আহমেদ এর স্ত্রী শাহনাজ সালেহ। যিনি মহিলা দল বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি। অনেক দিন ধরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসা করাচ্ছেন স্বজনরা। কিন্তু তারও খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি নেতারা। ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিএনপি’র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন বলেন, সালেহ আহমদে এর মৃত্যু বার্ষিকীর বিষয়টি আমার স্মরণে ছিলো না। তাছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকেও আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। আর পরিবার না জানালে আমরা কিভাবে জানবো। আমাদের জানালে তার স্মরণে কিছু একটা করা যেত। তবে তার স্ত্রী’র অসুস্থতার বিষয়টি আমার জানা আছে।