শেবাচিমের বেয়াদব মামুনের বিচার চেয়ে এবার দক্ষিণাঞ্চলের অভিভাবক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্মরণাপন্ন হলেন কর্মচারীরা শেবাচিমের বেয়াদব মামুনের বিচার চেয়ে এবার দক্ষিণাঞ্চলের অভিভাবক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্মরণাপন্ন হলেন কর্মচারীরা - ajkerparibartan.com
শেবাচিমের বেয়াদব মামুনের বিচার চেয়ে এবার দক্ষিণাঞ্চলের অভিভাবক আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্মরণাপন্ন হলেন কর্মচারীরা

3:08 pm , August 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মাদকাসক্ত অফিস সহায়ক আল মামুন মূসা ওরফে গালকাটা মামুনের হাত থেকে নিস্তার পেতে এবার দক্ষিণাঞ্চলে রাজনৈতিক অভিভাবক খ্যাত মন্ত্রী পদমর্যাদার আলহাজ্জ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি’র স্মরণাপন্ন হলেন কর্মচারীরা। গতকাল শুক্রবার তারা বরিশাল সার্কিট হাউসে শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি’র হাতে গালকাটা মামুনের শাস্তির দাবী সম্বলিত অভিযোগপত্র তুলে দেন।
এসময় গালকাটা মামুন কর্তৃক লাঞ্চিত চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী রুহুল আমিন লিখন, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্যান সমিতির উপদেষ্টা মজিবর রহমান, দুলাল আকন, কর্মচারী মিলন মোল্লা, শহিদুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী তরিকুল ইসলাম জানান, মামুন একজন জুনিয়র কর্মচারী হয়েও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও শেবাচিম হাসপাতালের অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। এই ঘটনায় মামুনের বিচার চেয়ে পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এর পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এজন্য আমাদের অভিভাবক ও স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি এর স্মরণাপন্ন হয়েছি।
এদিকে কর্মচারীদের দাবীর বিষয়টি দেখবেন বলে তাদের আশ^স্থ করেছেন আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ-এমপি। পাশাপাশি পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের আশ^াস দিয়েছেন মন্ত্রী।
জানাগেছে, হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী মাদকাসক্ত আল মামুন মূসা শেবাচিম হাসপাতালের সরকারি ওষুধ চুরি মামলার অন্যতম আসামি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সেফালী বেগমের ছেলে। ওষুধ চুরির মামলার আসামী ছিলো মাদকাসক্ত গালকাটা মামুন নিজেও। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কৃপায় এজাহার থেকে বাদ পড়ে যায় গালকাটা মামুনের নাম।
এদিকে শেবাচিমে আলোচিত নিয়োগ বানিজ্যের সময় অফিস সহায়ক পদে চাকরি পায় গালকাটা মামুন। তবে যোগদানের শেষ তারিখ পর্যন্ত জেলে থাকা মামুনের যোগদান নেয়া হয় নির্ধারিত তারিখের তিন দিন পরে। এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেন সাবেক এক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক।
অপরদিকে ওষুধ চুরি মামলার আসামী মাদকসেবী গালকাটা মামুনকে বর্তমান পরিচালক দায়িত্ব দিয়েছেন ওষুধ চোর, দালাল, পকেটমার ও ছিনতাইকারী ধরতে। মামুন তা না করে উল্টো ওইসব অপরাধিদের কাছ থেকে টুপাইস নিয়ে অপরাধের রাজত্ব গড়ে তুলছে। যে টাকা না দিচ্ছে সেই ধরা পড়ছে পরিচালকের হাতে।
শুধু তাই নয়, পরিচালকের নিরবতার কারণে মামুন ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সে হাসপাতালকে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি গাঁজা সহ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক ও গণধোলাই’র শিকারও হয় গালকাটা মামুন। তাতেও খ্যান্ত হয়নি সে। বরং হাসপাতাল পরিচালকের রহস্যজনক নিরবতার কারনে প্রতিবাদকারী সিনিয়র কর্মচারীদের লাঞ্চিত করে চলেছে একের পর এক। রেহাই পাচ্ছে না পদস্থ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও। এসব কারনে হাসপাতালের সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা গালকাটা মামুনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে। তারা মামুনের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যদিও হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন আগেই জানিয়েছেন, মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা সহ শান্তিমুলকভাবে বরগুনায় বদলীর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। তবে গত কদিন ধরেই পরিচালক এমন বক্তব্য দিয়ে আসলেও বাস্তবে তার প্রতিফল না ঘটায় কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT