3:27 pm , August 22, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ডেঙ্গু জ¦র ও এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় প্রথম গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনেই নগরীর নির্মানাধীন দুটি বাড়ি’র দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার এবং দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা আহমেদ এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউশন অফিসার ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সৈয়দ এনামুল হক সাইফুল। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটিই প্রথম মোবাইল কোর্ট বলে জানিয়েছেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সৈয়দ এনামুল হক। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা আহমেদ এর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় নগরীর বটতলা মুনসুর কোয়ার্টার এলাকায় নির্মানাধীন দুটি ভবনে জমে থাকা পানিতে মশা ভাসতে দেখা যায়। এজন্য নির্মানাধীন ভবনের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামকে এক হাজার, একই অভিযোগে পাশর্^বর্তী অপর একটি নির্মানাধীন ভবনের প্রকৌশলী সনজু আহমেদকে পাঁচশ টাকা, নোংরা পরিবেশ, ডাবের খোসা ও টায়ানের মধ্যে পানি জমে থাকার অপরাধে ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ব্যবসায়ী কাওসারুল ইসলাম ও সিএন্ডবি রোডের শামীম মৃধাকে দুইশত টাকা করে জরিমানা করা হয়। এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা আহমেদ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ডেঙ্গু ও এড়িস মশা প্রতিরোধে তারা প্রথমবারের মত এ ধরনের মোবাইল কোর্ট শুরু করেছেন। যা পরবর্তীতেও অব্যহত থাকতে। এড়িস মশার লার্ভা অথবা কোন প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনায় পানি জমে থাকা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।