শেবাচিমে গালকাটা মামুনের বিচার চেয়ে পরিচালকের কাছে কর্মচারীদের অভিযোগ শেবাচিমে গালকাটা মামুনের বিচার চেয়ে পরিচালকের কাছে কর্মচারীদের অভিযোগ - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে গালকাটা মামুনের বিচার চেয়ে পরিচালকের কাছে কর্মচারীদের অভিযোগ

3:08 pm , August 22, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বেয়াদব খ্যাত ও মাদকাসক্ত চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী আল মামুন মুসা ওরফে গালকাটা মামুনের শাস্তি দাবীতে পরিচালক বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মামুন কর্তৃক লাঞ্চিত ও হত্যার হুমকির শিকার অফিস সহায়ক এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. রুহুল আমিন মৃধা ওরফে লিখন সহকারী পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালক বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন। এসময় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী কল্যান সমিতিরসভাপতি মোদাচ্ছের আলী কবির, সংগঠনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান, প্যাথলজী বিভাগের টেকনোলজিষ্ট বিভূতী ভুষন হালদার সহ মামুন কর্তৃত লাঞ্চিত ও হামলার শিকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা শেবাচিম হাসপাতালের অফিস সহায়ক মাদকাসক্ত ও হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী আল মামুন মুসা’র দ্রুত শাস্তি সহ বদলীর দাবী জানান। এসময় পরিচালক গালকাটা মামুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে আশ^স্থ করেন। চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন লিখন লিখিত অভিযোগে বলেছেন, আমি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ছিলাম। তখন অফিস সহায়ক আল মামুন মূসা জুনিয়র কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত ও প্রাণনাসের হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন সহ সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান রুহুল আমিন লিখন সহ অন্যান্য কর্মচারীরা। জানাগেছে, হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী মাদকাসক্ত আল মামুন মূসা শেবাচিম হাসপাতালের সরকারি ওষুধ চুরি মামলার অন্যতম আসামি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সেফালী বেগমের ছেলে। ওষুধ চুরির মামলার আসামী ছিলো মাদকাসক্ত গালকাটা মামুন নিজেও। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কৃপায় এজাহার থেকে বাদ পড়ে যায় গালকাটা মামুনের নাম। এদিকে শেবাচিমে আলোচিত নিয়োগ বানিজ্যের সময় অফিস সহায়ক পদে চাকরি পায় গালকাটা মামুন। তবে যোগদানের শেষ তারিখ পর্যন্ত জেলে থাকা মামুনের যোগদান নেয়া হয় নির্ধারিত তারিখের তিন দিন পরে। এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেন সাবেক এক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। অপরদিকে ওষুধ চুরি মামলার আসামী মাদকসেবী গালকাটা মামুনকে বর্তমান পরিচালক দায়িত্ব দিয়েছেন ওষুধ চোর, দালাল, পকেটমার ও ছিনতাইকারী ধরতে। মামুন তা না করে উল্টো ওইসব অপরাধীদের কাছ থেকে টুপাইস নিয়ে অপরাধের রাজত্ব গড়ে তুলছে। যে টাকা না দিচ্ছে সেই ধরা পড়ছে পরিচালকের হাতে। শুধু তাই নয়, পরিচালকের নিরবতার কারণে মামুন ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সে হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র কর্মচারীদের লাঞ্চিত করছে। রেহাই পাচ্ছে না পদস্থ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও। এসব কারনে হাসপাতালের সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা গালকাটা মামুনের বিরুদ্ধে ফুলে ফেপে উঠেছে। তার মামুনের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। যদিও হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন আগেই জানিয়েছেন, মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা সহ শান্তিমুলকভাবে বরগুনায় বদলীর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। তবে গত কদিন ধরেই পরিচালক এমন বক্তব্য দিয়ে আসলেও বাস্তবে তার প্রতিফল না ঘটায় কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT