3:20 pm , August 21, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে রুপালী ইলিশ নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে বিরাট তারতম্য বিরাজ করছে। ইলিশের পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে দাম কমেনি মোটেও। ঈদুল আযহার পর পোর্ট রোডের পাইকারি ইলিশ মোকামে প্রতিদিন ৫’শ থেকে হাজার মণ ইলিশ আসছে। এর বেশিরভাগ ইলিশই গভীর সাগরের। মৎস্য বিভাগ, জেলে ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের মতে, সাগরের বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু নদীগুলোতে তেমন একটা ইলিশ পড়ছে না। জেলা মৎস্য অফিসার (হিলশা) বিমল চন্দ্র দাস জানান, আগে জেলেরা ছোট ফাসের জাল ব্যবহার করতো। কিন্তু বর্তমানে বড় বড় ফাসের জাল পাতার পর থেকে বড় বড় ইলিশ পরতে শুরু করেছে। বুধবার নগরীর পোর্ট রোডস্থ ইলিশ মোকামসহ নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫’শ থেকে ৭’শ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি বা তার বেশি সাইজের ইলিশ প্রতিকেজি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লেও দাম কেন কমছে না জানতে চাইলে পাইকারি ইলিশ মোকামের আড়তদার জহির সিকদার জানান, সাগর থেকে যে ইলিশ আসছে তার দুই-তৃতীয়াংশ যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। যথাযথভাবে ইলিশের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় খুচরা বাজারে ইলিশের দাম কমছে না। তার মতে, উপকূলীয় নদীগুলোতে যখন ব্যাপকভাবে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করবে, তখন খুচরা বাজারে দাম কমবে। মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি অজিৎ দাস মনু জানান, ঈদের পর থেকে ইলিশের আমদানি দ্বিগুণ বেড়েছে। বুধবার প্রায় ৬’শ মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে বরিশালের মোকামে। মঙ্গলবার এসেছিলো সাড়ে ৪’শ মন। তবে সোমবার ইলিশের আমদানি হয় রেকর্ড পরিমাণ ১ হাজার মনের বেশি। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সোমবার ৬শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মন বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। যা মঙ্গলবার ছিলো ৩৩ হাজার টাকা। আর সোমবার বিক্রি হয়েছে মনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা, যা ঈদের আগের তুলনায় অনেক কম। কেজি সাইজের ইলিশ সোমবার বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৪২ হাজার টাকা। মঙ্গলবার ও সোমবার একই সাইজের ইলিশ অবশ্য ২ হাজার টাকা কমে ৪০ হাজার করে মণ বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম কেন কমছে না, জানতে চাইলে অজিৎ দাস বলেন, বরিশালের বাইরে চালান বেশি হওয়ার কারণে দাম কমছে না। তবে স্থানীয় বাজারে সাগরের মাছের চাহিদাও কম।