3:10 pm , August 21, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাম্প্রতিক ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে ১ লাখ ২৩ হাজার যানবাহন পারাপার সম্ভব হয়েছে। এসময় রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী ফেরি সেক্টরগুলোতে অন্তত দশ লাখ যাত্রীও পারাপার সম্ভব হয়। বিগত ঈদ উল ফিতরের সময় আরো কিছুটা বেশী যানবাহন ও যাত্রী পারাপার সম্ভব হয় দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে।
এবারের ঈদ উল আজহাকে কেন্দ্র করে গত ৭ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে যাত্রী সহ ২৩ হাজার ৫শ বাস, সাড়ে ১২হাজারের মত ট্রাক ও ৮৬হাজার বিভিন্ন ধরনের ছোট গাড়ী পারাপার হয়েছে ৫০টি ফেরিতে। প্রবল স্রোত অতিক্রম করে দিনরাত সবগুলো ফেরি যানবাহন পারাপার করে পদ্মা ও মেঘনা’র দুপাড়ের মধ্যে একাধীক চলন্ত শিড়ির কাজ করেছে বলে মনে করছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল মহল। এসময়কালে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার করে সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১০কোটি ৭ লাখ টাকার মত।
৯আগস্ট সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় সর্বকালের সর্বাধীক পরিমান ১৭হাজার ১২৭টি যানবাহন পারাপার হয় আরিচা, মাওয়া, শরিয়তপুরÑচাঁদপুর, ভোলাÑলক্ষ্মীপুর ও লাহারহাটÑভেদুরিয়া সেক্টরে। ঈদ পরবর্তি ১৭ আগস্ট ১৩হাজার ৭শ যানবাহন পারাপার হয়েছে। তবে এত বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপারের পরেও প্রায় প্রতিদিনই আরো অন্তত এক থেকে দেড় হাজার যানবাহন ৩ঘন্টা থেকে ৫ঘন্টা পর্যন্ত বিভিন্ন ফেরিঘাটগুলোতে অপেক্ষমান ছিল। এবারের ঈদের আগে পড়েই রাষ্ট্রীয় নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠান-বিআইডব্লিউটিসি’র ৫০টি বিভিন্ন ধরনের ফেরির প্রায় সবইগুলোই সচল ছিল। শুধুমাত্র মাওয়া সেক্টরে ‘রাণীগঞ্জ’ নামের একটি ‘ডাম্ব ফেরি’ অচল থাকায় সাময়িক কিছু সমস্যা তৈরি হয়।
ঈদের আগে ৭ আগস্ট ৯ হাজার যানবাহন পারপার হলেও পরের দিনই তা ৫হাজার বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ হাজারে উন্নীত হয়। ৯আগস্ট তা ১৭ হাজার অতিক্রম করে। সরকারী নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠানটি সীমান্তের ওপারের বালু মিশ্রিত প্রবল শ্রোতের সাথে বৈরী আবহাওয়া সহ নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করেই যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় দশ লাখ যাত্রী সহ প্রায় সোয়া লাখ যানবাহন পারাপার করতে সক্ষম হয়েছে । এ দাবী করে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব প্রনয় কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিগত ঈদ উল ফিতরের সময়ও সংস্থাটি ১ লাখ ২৫ হাজার ৫শর মত যানবাহন পারাপার করে প্রায় ১১কোটি টাকায় আয় করেতে সক্ষম হয়। তবে সচল নৌযানের অভাবে যাত্রীবাহী সেক্টরে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি বিগত দুটি ঈদে ভাল যাত্রী সেবা দিতে পারেনি বলেও চেয়ারম্যান স্বীকার করেন।