ছুটির প্রথম দিনেই পশুর হাটে মানুষের ঢল ছুটির প্রথম দিনেই পশুর হাটে মানুষের ঢল - ajkerparibartan.com
ছুটির প্রথম দিনেই পশুর হাটে মানুষের ঢল

3:02 pm , August 9, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দর-কষাকষি আর চুলচেরা যাচাই-বাছাইয়ের দিন শেষ। দুয়ারে ঈদ। দুদিন পরই ত্যাগের মহিমায় উদযাপন হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে ছুটি শুরু হয়ে গেছে। আর ছুটির প্রথম দিন শুক্রবারই (০৯ আগস্ট) তাই জমজমাট হয়ে উঠেছে বরিশালের পশুরহাট। শুক্রবার সকাল থেকে কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে বরিশালের পশুর হাট। দুপুরের পর ঢল নেমেছে ক্রেতাদেরও। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসায় ধীরে ধীরে এখন বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভিড় কমে বেড়েছে ক্রেতাদের। বাড়ছে স্থানীয় ও আশপাশের জেলা থেকে আগত ক্রেতার সংখ্যা। ইট-পাথরের শহরে জায়গার অভাবে যারা এতদিন সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। তারাই এখন হাটের শেষ মুহূর্তের ক্রেতা। মূলত শেষের এই তিন দিনের বেচাকেনার দিকেই তাকিয়ে থাকেন বরিশালে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিক্রেতারাও।
ফলে কোরবানির পশু কেনা-বেচায় আজ রাজ্যের ব্যস্ততা ভর করেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাথায়। কারোরই যেনো ফুরসত নেই। শেষ মুহূর্তের কেনা-বেচাকে ঘিরে বরিশালের হাটে এখন পশুর আমদানি ও ক্রেতা দুইই বেড়েছে। তাই শুক্রবার দুপুর থেকে কেনাকাটায় সরগরম হয়ে উঠেছে পশু হাট। গরু আর খাসির আমদানিও হয়েছে প্রচুর। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার দেশি গরু ও ছাগলের চাহিদা এবং দাম বেশি। তবে আশার কথা হচ্ছে সকালে দাম ধরে রাখলেও দুপুরের পর থেকে কমাতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। দাম ধরে না রেখে বিক্রেতারা নিজের পশুটি অল্প লাভেই এখন ছেড়ে দিচ্ছেন। আর কোরবানির পশু কেনার শেষ সময় বলে ক্রেতারও সেই সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। হাটের পূর্ব থেকে পশ্চিম, ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর-দামে হাটের প্রতিটি প্রান্তই প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা চেষ্টা করছেন কিভাবে আরও কম দামে গরু-খাসি পাওয়া যায়, বিক্রেতাদের চেষ্টা দাম কম হলেও তা বিক্রি করে কিভাবে বাড়ি ফেরা যায়। এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশি ছোট এবং মাঝারি আকৃতির গরু। ক্ষতিকর বিভিন্ন দিক ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মোটাতাজাকরণ গরুর দিক থেকে এবারও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সবাই। তাই দেশি গরুর কদর বেশি। ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত তিনদিন থেকে হাট জমে উঠলেও আজই লোক বেশি এবং অন্যান্য দিনের তুলানায় দামও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সকাল ১০ টা থেকেই মহানগর ও এর আশেপাশের জেলা-উপজেলা থেকে হাটে আসা শুরু করেছে গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া। বিকেল ৩টা বাজতেই জমে উঠে হাট। সূর্য পশ্চিমে হেলতেই চলমান তাপ প্রবাহ কিছুটা কমতে পর থেকে হাটে কেনা-বেচা চলছেই। বিকেলে মুখরিত হয়ে ওঠে হাট ও তার আশেপাশের এলাকা। সন্ধ্যা গড়িয়ে বেচা-কেনা চলবে গভীর রাত পর্যন্ত। এছাড়া শনিবার (১০ আগস্ট) এবং রোববার (১১ আগস্ট) সারারাতই হাট খোলা থাকবে। গরু বিক্রেতা জয়নাল হোসেন জানান, আকার ভেদে ছোট আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের গরুর দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মোটামুটি বড় আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে সব আকারের গরুর দামই ৬-৭ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। অনেকে সামান্য লাভ থাকলেও গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে ক্রেতারা দর করে সাধ ও সাধ্যের মধ্যেই পছন্দের পশুটি কিনে নিয়ে যেতে পারছেন। আর হাটে জাল টাকা সনাক্তে মেশিন বসানো হয়েছে। হাসিল নিয়েও কোনো সমস্যা হয়নি। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন। সব মিলিয়ে শুক্রবারই প্রথম পশুর হাট জমে উঠেছে বলেও জানান এ হাট ইজারাদার।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT