3:00 pm , August 6, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মাত্র কদিন বাদেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ উল আয্হা। ১২ আগস্ট ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানীর মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা এবং জেলা প্রশাসন থেকে এরই মধ্যে হাটগুলোর অনুমোদন নিশ্চিত করা হয়েছে। সে হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সহ জেলার ১০টি উপজেলায় এবার পশুর হাট বসবে ৬৬টি। যার মধ্যে স্থায়ী ২৭টি এবং অস্থায়ী হাটের সংখ্যা মোট ৩৯টি। আর বরিশাল সিটি এলাকায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২টি স্থায়ী সহ ৬টি পশুর হাটের।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানাগেছে, ৫৮ বর্গ কিলোমিটার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইতিপূর্বে বাৎসরিক চুক্তিতে দুটি স্থায়ী হাটের ইজারা দেয়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি নগরীর কাশিপুর বাঘিয়া গরুর হাট এবং অপরটি নগরীর পোর্ট রোডের কশাইখানা গরুর হাট।
এ দুটির পাশাপাশি মঙ্গলবার ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে অস্থায়ী চারটি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নীচে, বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কের কালিজিরা ব্রিজ এর নীচে একটি, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সিএন্ডবি রোডস্থ থানা কাউন্সিলের সামনে একটি এবং অপরটি নগরীর কাউনিয়া টেক্সটাইল এলাকায়।অপরদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল সদর সহ জেলার ১০টি উপজেলায় এবার মোট ৬০টি পশুর হাট বসবে। যার মধ্যে অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা ৩৫টি। বাকি ২৫টি বাৎসরিক চুক্তিতে ইজারা দেয়া স্থায়ী পশুর হাট।
মোট পশুর হাটের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ৮টি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৬টি, উজিরপুরে ৬টি, বাকেরগঞ্জে ১০টি, গৌরনদীতে ৩টি, আগৈলঝাড়ায় ৩টি, মুলাদীতে সর্বোচ্চ ১২টি, বানারীপাড়ায় ৩টি, হিজলা উপজেলায় ৭টি ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২টি করে পশুর হাট বসবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অস্থায়ী পশুর হাট গুলোকে ঈদের তিন দিন পূর্বে থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত ইজারা দেয়া হয়েছে। ফলে এসব হাটে এখনো পশু আসতে শুরু করেনি। হাটগুলোতে চলছে অবকাঠামো তৈরীর প্রস্তুতি। দু-একদিনের মধ্যে অস্থায়ী হাটগুলোতে পশু আসতে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা।তবে ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকতেই নগরীর বাইরের স্থায়ী হাটগুলোতে পশু উঠতে শুরু করেছে। সাপ্তাহিক হাটের দিন ছাড়াও বলতে গেলে প্রতিদিনই এখন কম বেশি গরু-ছাগল উঠছে স্থায়ী হাটগুলোতে। বেচা-বিক্রিও কম বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়ার বৃহত্তর স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার মোর্শেদ আলম।
প্রাণিসম্পদ বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. কানাই লাল স্বর্ণকার জানান, এবার বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় ৫ লক্ষাধিক পশু কোরবানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ ভাগ পশু আসবে বরিশাল বিভাগের খামারিদের কাছ থেকে। আরো ২০ ভাগ আসবে গৃহস্থালি থেকে। বাকি ২০ ভাগ পশুর চাহিদা মিটাতে হবে বরিশালের বাইরে থেকে আসা পশু দিয়ে।
অপরদিকে পুলিশের নগর বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মো. সালেহ বলেন, মহানগর এলাকায় ১৯টি’র মত হাট বসছে। প্রতিটি হাটেই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে হাটগুলোতে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প এবং জাল টাকা শনাক্তকরন মেশিন থাকবে। হাটের বাইরেও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।