3:33 pm , August 5, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহানগর এলাকায় প্রথমবারের মত যাত্রা শুরু হলো “ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম” এর। গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় নগরীর চাঁদমারী এলাকায় বেলুন ফেষ্ঠুন উড়িয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। উদ্বোধন পরবর্তী চাঁদমারী অফিসার্স মেস চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। যা বান্দ রোড হয়ে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে পজ মেশিনের সাহায্যে মামলা দেয়া এবং ইউক্যাশ এজেন্টের মাধ্যমে জরিমানার টাকা পরিশোধের মধ্যে দিয়ে “ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম” এর যাত্রা শুরু হয়।
এর আগে অফিসার্স মেসের সভা কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান।আলোচনা সভা শেষে মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সাথে সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি ব্যাংক, গ্রামীন ফোন ও বাংলালিংক মোবাইল অপারেটর কোম্পানির চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তার আগে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সম্পর্কে বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা সহ ৪০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ঢাকার এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান সিষ্টেম এ্যানালিষ্ট হামিদুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেছেন, দেশ যে ডিজিটাল হচ্ছে তারই একটি প্রমান মহানগর এলাকায় ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিষ্টেম। ডিজিটাল এই পদ্ধতির কারনে নাগরিকদের এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। যেখানে বসে মামলা হবে সেখানেই বসেই তারা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করতে পারবে। এতে যেমন সময় অপচয় কম হবে, তেমনি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। তাই ট্রাফিক বিভাগের ডিজিটাল এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান মেয়র।
এদিকে উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরবর্তী উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খায়রুল আলম বলেন, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম” কার্যক্রম উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ পুরোপুরি ভাবে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলো।তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে ট্রাফিক পুলিশকে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায় করতে হয়েছে। এজন্য চালক সহ সাধারণ মানুষের মনে এ কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। যা নিয়ে পুলিশের সাথে বচসা করেও সময় নষ্ট করেন অনেকে। কিন্তু ডিজিটাল এ প্রযুক্তির কারনে সেই সংকট দুর হচ্ছে। চালক ও মালিকদের মামলার কাগজ নিয়ে এখন আর ট্রাফিক অফিস ও ব্যাংকে গিয়ে ধর্ণা দিতে হবে না। এখন মামলা হওয়ার পরে চালক বা মালিক যেখন যেখানে, খুশি সেখানে বসে যে কোন সময় জরিমানার টাকার পরিশোধ করা যাবে।তিনি বলেন, মামলা দায়েরের সাথে সাথে পজ মেশিন থেকেই মামলার স্লিপ বেরিয়ে আসবে। যা চাইলে পাশর্^বর্তী ইউক্যাশ পয়েন্টের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ করে মামলা নিষ্পত্তি করা যাবে। এ জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪৩টি পয়েন্টে ইউক্যাশ এজেন্ট রয়েছে। প্রয়োজনের এর পরিমান আরো বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাফিক এর ডিসি খায়রুল আলম।