3:19 pm , August 5, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ অর্থ সহ বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল। গত ৩ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক ঘন্টার টানা অভিযানে তাদের আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এরা দীর্ঘ দিন ধরে দিনের বেলায় বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে। আটককৃতরা হলো- চোর চক্রের হোতা নগরীর নিউ ভাটিখানা এলাকার মৃত আব্দুল গফুর এর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), একই এলাকার ফিরোজ হোসেনের ছেলে মো. রিয়াদ (২৫), আমানতগঞ্জ এলাকার মৃত ওবায়েদুল হক ফিরোজের ছেলে জিতু আহম্মেদ (৪০), চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের আরিফ হোসেনের ছেলে মো. আলিফ (২৪) নগরীর পলাশপুর এলাকার খবির আহম্মেদ খানের ছেলে মো. তহিদুল ইসলাম (২৮), নগরীর কাটপট্টি মা জুয়েলার্সের মালিক শ্যামল কুমার দে, ভাটিখানা জোড় মসজিদ এলাকার দেলোয়ার গাজীর ছেলে মো. কবির গাজী (২৫) ও একই এলাকার পান্থ সড়কের বাসিন্দা কামাল এর ছেলে মো. রনি।
এদের কাছ থেকে চোরাই ১৫টি মোবাইল সেট, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি ট্যাব, ১টি ডিএসএলআর ক্যামেরা, ১টি হেন্ডি ক্যামেরা, ২ জোড়া স্বর্ণের বালা, ১টি স্বর্ণের চেইন, ৫টি স্বর্ণের অংটি, ৭টি স্বর্ণের নাকফুল, নগদ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, ১টি কম্পিউটার কি-বোর্ড, ১টি কডলেস মাউথ স্পিকার ও ৩টি তালাভাঙার সরঞ্জাম সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১২টায় নগরীর বন্দ রোডস্থ পুলিশ অফিসার্স মেস এর সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।তিনি জানান, ইদানিং বরিশাল নগরীতে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পায়। তারই ফলশ্রুতিতে মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ সংঘবদ্ধ চোরদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করে।এর ধারাবাহিকতায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আকরামুল হাসান এর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) রাসেল আহমেদ, ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল গত ৩ আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট গভীর রাত পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় সংঘবদ্ধ চোর চেক্রের মুল হোতা সহ ৮ জনকে আটক ও তাদের নিকট হতে চোরাই টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত চোর চক্রের মুল হোতা দু’জনই বরিশালের স্থাী বাসিন্দা। তারা দীর্ঘ দিন যাবাত দিনের বেলায় চুরি সহ চোরাই মালামাল বিক্রির সাতে জড়িত ছিলো।পুলিশ কমিশনার বলেন, চোর চক্রটি দিনে এবং সন্ধ্যা বেলায় টিভি মেকার, কখনো ফ্রিজের মেকার, কখনো এসির মেকার, কখনো ইলেকট্রিশিয়ান আবার কখনো কাপড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বহুতল ভবনে ওঠে। পরে ভবনের কোন ঘরে তালা দেয়া থাকলে সেলাই রেঞ্জ দিয়ে দরজার কড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ এবং চুরি সংঘটিত করে কেটে পড়ে।আটককৃতদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অর্থাৎ গত ২০ জুলাই হতে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানায় চুরি সংক্রান্ত ৭টি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।