বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫: মৃত্যু ৪ বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫: মৃত্যু ৪ - ajkerparibartan.com
বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫: মৃত্যু ৪

3:06 pm , August 3, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৮৫ জনে। যার মধ্যে ২ আগস্ট পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মৃত্যু ২ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে বরগুনার লাকুরতলা গ্রামের ইসাহাক আলীর দেড় বছরের পুত্র তাওহীদ এর মৃত্যু হয়। বরগুনার সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সরকারি পরিসংখ্যানে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। এদিকে বরিশাল সহ বিভাগের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বর পরিক্ষার ডিভাইস এর সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনও ফুরিয়ে গেছে।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ জুলাই থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন।
এদিকে ভর্তি রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ ৩ জনের। তাছাড়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে আরো ৭৬ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধিন রয়েছেন আরো ১৩৯ জন।
অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক সহ বিভাগের ৬ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ৪ জন, বরিশাল জেলায় ১ জন, পটুয়াখালী জেলায় ৮ জন, ভোলা জেলায় ৬ জন, পিরোজপুর জেলায় ৪ জন, বরগুনায় ৮ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জন।
এদিকে ২ আগস্ট দেড় বছরের শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, তাদের হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরে নতুন করে আর কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।
তবে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, শিশুটি তার বাড়িতে বসেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তাকে যখন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছিলো। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, শিশুটির মৃত্যু বরগুনায় হয়নি। তার মৃত্যু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হয়েছে। যে কারনে মৃত্যুর পরিসংখ্যান শেবাচিম হাসপাতাল থেকেই দেয়া হবে। অপরদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিভাগে যে কজনের মৃত্যু হয়েছে তার হিসাব আমাদের কাছে আসে। তবে শেবাচিম হাসপাতালের হিসাব আলাদাভাবে আমাদের কাছে প্রেরন করা হয়। যা সেভাবেই আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করি। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে শিশুর বিষয়টি উল্লেখ না থাকলে সে দায়ভার শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫: মৃত্যু ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৮৫ জনে। যার মধ্যে ২ আগস্ট পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মৃত্যু ২ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে বরগুনার লাকুরতলা গ্রামের ইসাহাক আলীর দেড় বছরের পুত্র তাওহীদ এর মৃত্যু হয়। বরগুনার সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সরকারি পরিসংখ্যানে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। এদিকে বরিশাল সহ বিভাগের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বর পরিক্ষার ডিভাইস এর সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনও ফুরিয়ে গেছে।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ জুলাই থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন।
এদিকে ভর্তি রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ ৩ জনের। তাছাড়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে আরো ৭৬ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধিন রয়েছেন আরো ১৩৯ জন।
অপরদিকে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক সহ বিভাগের ৬ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ৪ জন, বরিশাল জেলায় ১ জন, পটুয়াখালী জেলায় ৮ জন, ভোলা জেলায় ৬ জন, পিরোজপুর জেলায় ৪ জন, বরগুনায় ৮ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জন।
এদিকে ২ আগস্ট দেড় বছরের শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, তাদের হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরে নতুন করে আর কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।
তবে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, শিশুটি তার বাড়িতে বসেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। তাকে যখন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছিলো। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, শিশুটির মৃত্যু বরগুনায় হয়নি। তার মৃত্যু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে হয়েছে। যে কারনে মৃত্যুর পরিসংখ্যান শেবাচিম হাসপাতাল থেকেই দেয়া হবে। অপরদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিভাগে যে কজনের মৃত্যু হয়েছে তার হিসাব আমাদের কাছে আসে। তবে শেবাচিম হাসপাতালের হিসাব আলাদাভাবে আমাদের কাছে প্রেরন করা হয়। যা সেভাবেই আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করি। মৃত্যুর পরিসংখ্যানে শিশুর বিষয়টি উল্লেখ না থাকলে সে দায়ভার শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT