‘ডেঙ্গু’ প্রতিরোধে করণীয় ‘ডেঙ্গু’ প্রতিরোধে করণীয় - ajkerparibartan.com
‘ডেঙ্গু’ প্রতিরোধে করণীয়

3:02 pm , August 3, 2019

কাজী আফরোজা ॥ ডেঙ্গু এখন সামাজিক আতংক। সামান্য একটি জ্বর সারা দেশকে আলোড়িত করেছে। বাংলাদেশের সমস্ত জায়গায় এর প্রাদুর্ভাব। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু হতে যুবক-বৃদ্ধ কেউই বাদ পরেনি। যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। হাসপাতালে এ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস। যা মশার মাধ্যমে মানবদেহে রোগজীবানু ছড়ায়। বর্তমানে যে ডেঙ্গুর আক্রমন হচ্ছে তাতে আগের মত কোন জ্বরের পুরোপুরি লক্ষন পাওয়া যায় না। ডেঙ্গু ভাইরাসের স্ট্রেইন হলো চারটি। ডেঙ্গু ভাইরাস -১,২,৩,৪। প্রথম দিকে যে ভাইরাসের আক্রমন হয়েছিল তা হলো -১, ২ । বর্তমানে যে ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষায় পাওয়া যাচ্ছে তাহলো ৩। ভাইরাস তার জাত পরিবর্তন করে নিয়েছে । যার কারনে তার লক্ষনগুলোও সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগে জ্বর হবার সাথে সাথে অসম্ভব শরীর ব্যাথা হতো , শরীরে বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাশ দেখাদিত। বর্তমানে সে ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ জ্বরে আক্রান্ত হবার পরে হঠাৎ করেই বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডেঙ্গুর আক্রমনে আগেও রক্তের উপাদানের মধ্যে অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেটকে দ্রুত ভেঙ্গে ফেলত। রক্তের ওই উপাদান কোন জায়গায় কেটে গেলে বা রক্তক্ষরন হলে সেখানে রক্ত জমাট বাধতে দ্রুত সহযোগীতা করে। আর ঐ উপাদান যদি দ্রুত ভেঙ্গে যায় তা হলে রোগী শক বা কোমায় চলে যায় যার পরিনতিতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। এই যে ভয়াবহ তা শুধু আমাদের দেশেই হচ্ছে তা কিন্ত নয়। দক্ষিন এশিয়ার বেশ কয়েকটা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।তবে আমাদের দেশে এর ভয়াবহতা অনেক বেশী। এটা হঠাৎ করে কেন হলো? এটা আমাদের বুঝতে হবে। সামাজিক পরিবেশ পরিস্কার পরিছন্নতা না থাকার কারনে আজকে আমাদের এ দুর্গতি। আমরা ময়লা আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় না রেখে যত্রতত্র ফেলে রাখি আমরা। যেখানে মশা তাদের বংশ বিস্তার করে। প্লাস্টিক বোতল যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয় যাতে জমে বৃষ্টির পানি। ডাব খেয়ে ফেলে রাখি তার মধ্যে জমে পানি। বাড়ীর আঙ্গিনা নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না, সেখানেও মশা বংশ বিস্তার করে। শহরে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো উচিত তা পরিমিতভাবে হয়না। মশার বেড়ে ওঠাগুলো আমাদের অবহেলার কারনেই হয়ে ওঠে। সারা দেশে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। কোন খোলা বোতল বা যানবাহনের টায়ার, ডাবের খোসা যত্রতত্র ফেলে রাখবনা। এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে যাতে কোন মশা জম্মাতে না পারে। খাওয়া দাওয়া করার পর পাত্রগুলো ধুয়ে রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা সবাই এখনই সচেতন হবো যেন ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা থেকে সবাই মুক্তি পাই।‘ডেঙ্গু’ প্রতিরোধে করণীয়
কাজী আফরোজা ॥ ডেঙ্গু এখন সামাজিক আতংক। সামান্য একটি জ্বর সারা দেশকে আলোড়িত করেছে। বাংলাদেশের সমস্ত জায়গায় এর প্রাদুর্ভাব। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু হতে যুবক-বৃদ্ধ কেউই বাদ পরেনি। যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। হাসপাতালে এ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস। যা মশার মাধ্যমে মানবদেহে রোগজীবানু ছড়ায়। বর্তমানে যে ডেঙ্গুর আক্রমন হচ্ছে তাতে আগের মত কোন জ্বরের পুরোপুরি লক্ষন পাওয়া যায় না। ডেঙ্গু ভাইরাসের স্ট্রেইন হলো চারটি। ডেঙ্গু ভাইরাস -১,২,৩,৪। প্রথম দিকে যে ভাইরাসের আক্রমন হয়েছিল তা হলো -১, ২ । বর্তমানে যে ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষায় পাওয়া যাচ্ছে তাহলো ৩। ভাইরাস তার জাত পরিবর্তন করে নিয়েছে । যার কারনে তার লক্ষনগুলোও সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগে জ্বর হবার সাথে সাথে অসম্ভব শরীর ব্যাথা হতো , শরীরে বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাশ দেখাদিত। বর্তমানে সে ধরনের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ জ্বরে আক্রান্ত হবার পরে হঠাৎ করেই বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডেঙ্গুর আক্রমনে আগেও রক্তের উপাদানের মধ্যে অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেটকে দ্রুত ভেঙ্গে ফেলত। রক্তের ওই উপাদান কোন জায়গায় কেটে গেলে বা রক্তক্ষরন হলে সেখানে রক্ত জমাট বাধতে দ্রুত সহযোগীতা করে। আর ঐ উপাদান যদি দ্রুত ভেঙ্গে যায় তা হলে রোগী শক বা কোমায় চলে যায় যার পরিনতিতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। এই যে ভয়াবহ তা শুধু আমাদের দেশেই হচ্ছে তা কিন্ত নয়। দক্ষিন এশিয়ার বেশ কয়েকটা দেশেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।তবে আমাদের দেশে এর ভয়াবহতা অনেক বেশী। এটা হঠাৎ করে কেন হলো? এটা আমাদের বুঝতে হবে। সামাজিক পরিবেশ পরিস্কার পরিছন্নতা না থাকার কারনে আজকে আমাদের এ দুর্গতি। আমরা ময়লা আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় না রেখে যত্রতত্র ফেলে রাখি আমরা। যেখানে মশা তাদের বংশ বিস্তার করে। প্লাস্টিক বোতল যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয় যাতে জমে বৃষ্টির পানি। ডাব খেয়ে ফেলে রাখি তার মধ্যে জমে পানি। বাড়ীর আঙ্গিনা নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না, সেখানেও মশা বংশ বিস্তার করে। শহরে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো উচিত তা পরিমিতভাবে হয়না। মশার বেড়ে ওঠাগুলো আমাদের অবহেলার কারনেই হয়ে ওঠে। সারা দেশে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। কোন খোলা বোতল বা যানবাহনের টায়ার, ডাবের খোসা যত্রতত্র ফেলে রাখবনা। এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে যাতে কোন মশা জম্মাতে না পারে। খাওয়া দাওয়া করার পর পাত্রগুলো ধুয়ে রাখতে হবে, মশারি ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা সবাই এখনই সচেতন হবো যেন ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা থেকে সবাই মুক্তি পাই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT