3:01 pm , August 3, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাশিপুরে ট্রাক টার্মিনালে পিকআপ চালক উজ্জলকে (২৪) জবাই করে হত্যার পর লাশ বালু চাপা দেয়ার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত তিন ঘাতককে গ্রেপ্তারের পর রহস্য উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও নিহতের পিকআপ ভ্যান ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের নাম-পরিচয় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের নাম সোহাগ এবং সে নগরীর রিফিউজি (খালেদাবাদ) কলোনী এলাকার বাসিন্দা বলে জানাগেছে। সোহাগই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। চোরাই মালামাল বিক্রির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছেন। সূত্রটি জানিয়েছে, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনাল নির্মান কাজের ঠিকাদার সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল। ঠিকাদারী কাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান মোল্লা।
সূত্রটি জানায়, ট্রাক টার্মিনাল নির্মানের জন্য ঠিকাদার নতুন নির্মান সামগ্রী সরবরাহ করে। কিন্তু মালামাল চোরাই ভাবে বিক্রি করে পুরানো মালামাল দিয়ে টার্মিনাল নির্মান কাজ করা হয়। যা নিহত উজ্জল এর পিকআপ ভ্যানে বহন করে চোরাই পথে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই উজ্জলের সাথে গ্রেফতারকৃত তিন জনের বিরোধ হয়।
সূত্র আরো জানায়, সর্বশেষ চোরাই মালামাল বিক্রির টাকা থেকে মাত্র ২ হাজার টাকা ভাগ পায় উজ্জল। এজন্য সে এই বিষয়ে পুলিশের কাছে বলে দেয়ার হুমকি দেয়। তাই ঘটনার রাতে হত্যাকারী তিন যুবক পরিকল্পিতভাবে উজ্জলকে ট্রাক টার্মিনালের ডেকে নেয়। তার আগেই টার্মিনাল চত্ত্বরে কাশ বনের মধ্যে গর্ত করে রাখে খুনিরা। পরে টার্মিনাল ভবনের ছাদে উজ্জলকে জবাই করে হত্যার পরে কাথায় পেচিয়ে মৃতদেহ বালুর মধ্যে পুতে রাখা হয়। সূত্র এমন তথ্য জানালেও এ বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও তারা হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এদিকে আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি বলেন, ঘটনার পর পরই শুক্রবার গভীর রাতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া অপর দু’জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি এখনো উদ্ধার হয়নি।
ওসি আরো বলেন, উজ্জল হত্যাকান্ড নিয়ে রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ওইদিন বেলা ১২টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরন করা হবে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর কাশিপুর এলাকার নির্মানাধিন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনালের অভ্যন্তরে কাশবনে বালুর ভেতর চাপা দেয়া অবস্থায় গড়িয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা ও গোলাম মোস্তফার ছেলে কাভার্ড ভ্যান চালক উজ্জল এর জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাতেই নিহতের মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে নামধারী আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে শুক্রবার রাত ১২টার পরে নগরীর ধানগবেষনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত উজ্বলের ছিনতাই হওয়া পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার ও সোহাগ নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পিকআপ চালক হত্যার রহস্য উদ্ধার ॥ তিন ঘাতক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাশিপুরে ট্রাক টার্মিনালে পিকআপ চালক উজ্জলকে (২৪) জবাই করে হত্যার পর লাশ বালু চাপা দেয়ার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত তিন ঘাতককে গ্রেপ্তারের পর রহস্য উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও নিহতের পিকআপ ভ্যান ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের নাম-পরিচয় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনের নাম সোহাগ এবং সে নগরীর রিফিউজি (খালেদাবাদ) কলোনী এলাকার বাসিন্দা বলে জানাগেছে। সোহাগই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। চোরাই মালামাল বিক্রির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছেন। সূত্রটি জানিয়েছে, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনাল নির্মান কাজের ঠিকাদার সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জাকির হোসেন জেলাল। ঠিকাদারী কাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান মোল্লা।
সূত্রটি জানায়, ট্রাক টার্মিনাল নির্মানের জন্য ঠিকাদার নতুন নির্মান সামগ্রী সরবরাহ করে। কিন্তু মালামাল চোরাই ভাবে বিক্রি করে পুরানো মালামাল দিয়ে টার্মিনাল নির্মান কাজ করা হয়। যা নিহত উজ্জল এর পিকআপ ভ্যানে বহন করে চোরাই পথে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই উজ্জলের সাথে গ্রেফতারকৃত তিন জনের বিরোধ হয়।
সূত্র আরো জানায়, সর্বশেষ চোরাই মালামাল বিক্রির টাকা থেকে মাত্র ২ হাজার টাকা ভাগ পায় উজ্জল। এজন্য সে এই বিষয়ে পুলিশের কাছে বলে দেয়ার হুমকি দেয়। তাই ঘটনার রাতে হত্যাকারী তিন যুবক পরিকল্পিতভাবে উজ্জলকে ট্রাক টার্মিনালের ডেকে নেয়। তার আগেই টার্মিনাল চত্ত্বরে কাশ বনের মধ্যে গর্ত করে রাখে খুনিরা। পরে টার্মিনাল ভবনের ছাদে উজ্জলকে জবাই করে হত্যার পরে কাথায় পেচিয়ে মৃতদেহ বালুর মধ্যে পুতে রাখা হয়। সূত্র এমন তথ্য জানালেও এ বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও তারা হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এদিকে আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি বলেন, ঘটনার পর পরই শুক্রবার গভীর রাতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া অপর দু’জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি এখনো উদ্ধার হয়নি।
ওসি আরো বলেন, উজ্জল হত্যাকান্ড নিয়ে রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ওইদিন বেলা ১২টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরন করা হবে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর কাশিপুর এলাকার নির্মানাধিন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনালের অভ্যন্তরে কাশবনে বালুর ভেতর চাপা দেয়া অবস্থায় গড়িয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা ও গোলাম মোস্তফার ছেলে কাভার্ড ভ্যান চালক উজ্জল এর জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাতেই নিহতের মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে নামধারী আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে শুক্রবার রাত ১২টার পরে নগরীর ধানগবেষনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত উজ্বলের ছিনতাই হওয়া পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার ও সোহাগ নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।