3:16 pm , August 2, 2019
সাঈদ পান্থ ॥ ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্ত এই ডেঙ্গু শনাক্তকরণে পিছিয়ে পড়েছে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো। কারণে হিসেবে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই থেকে বরিশালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার ডিভাইস এসে পৌছায়নি। যদিও বিভাগের ৬ জেলায় ১২০ পিস করে গত বৃহস্পতিবার ডিভাইস প্রেরণ করা হয়েছে। এনএসওয়ান পরীক্ষার ডিভাইস থেকে পরীক্ষ শুরু করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ দাবী করলেও বাস্তবে এই প্রমান মেলা দায়।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে এই হাসপাতালে। বর্তমানে এই হাসপাতালে ১১৪ জন রোগী ডেঙ্গু চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। গত ১৬ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত এই হাসপাতাল থেকে ১৮৭ জন রোগী ডেঙ্গু চিকিৎসার সেবা নিচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক হাজার শয্যার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার ডিভাইস এসে পৌছায়নি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইজিজি ও আইজিএম দিয়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্রতীকী মূল্যে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা থাকলেও ডেঙ্গু আক্রান্তদের কারো স্থান হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝেতে আবার কারো ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। ওষুধ বলতে প্যারাসিট্যামল আর ওমেপ্রাজল। চিকিৎসাধীন রোগীর গ্লুকোজ স্যালাইনও কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসি থেকে। ডেঙ্গু রোগীদের ব্যবহৃত টয়লেট-বাথরুমও নোংরা-দুর্গন্ধময়। সরকারি এই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পরীক্ষার জন্য এন্টিজেন আসেনি এখনও পর্যন্ত। নেই গ্লুকোজ স্যালাইনও। এ কারণে বাইরের ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে রোগ পরীক্ষায় বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এদিকে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে এনএসওয়ান পরীক্ষায় ডিভাইস ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। শীঘ্রই ডিভাইস আসার সম্ভবনা কম বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র। এতে রোগী ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে ৭১ জন এবং লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন দেখা গেছে ১১৪ জনকে। যার মধ্যে পুরুষ ৭১ জন, নারী ২৮ জন এবং ১৫ জন শিশু।বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার একটি ডিভাইসও পাইনি। আমরা আইজিজি ও আইজিএম দিয়ে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করছি। পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে এনএসওয়ান পরীক্ষার একটি ডিভাইসের জন্য গত ৬ দিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আমাদের লোক অপেক্ষা করছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল ৫ হাজার ডিভাইস নিয়ে গেছে। পদ্মার এপাড়ে থাকার কারণে আমরা একটি ডিভাইসও পাইনি। আমরা এ বিষয়ে ডিমান্ড করেছি। পাশাপাশি টাকাও চেয়েছি। কিন্তু কোনটাই এখনও পাইনি। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি আসলাম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি ডেঙ্গুতে মারা যাওয়ার পর জনমনে আতংক বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো চিকিৎসাধিন রয়েছে রাসেল, কলেজ ছাত্র হৃদয়। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলার বাসিন্দাদের ছুটতে হচ্ছে বিভাগীয় শহর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারলেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করার যন্ত্র না থাকায় পরিপূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সরকার সাইফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ডেঙ্গু শনাক্ত করণ যন্ত্র না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য এতোদিন বরিশালে পাঠানো হতো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের কাছেও ডিভাইস এসেছে। যা থেকে আমরাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারছি। বরিশাল সিভিল সার্জন ডা: মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার উপাদান আমাদের আগে ছিল না। তবে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১২০ পিস এনএসওয়ান পরীক্ষার ডিভাইস পেয়েছি। ওই দিনই বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ডিভাইসগুলো পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগে ডেঙ্গু পরীক্ষা না হলেও এখন থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।’ জেলা শহর ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার এর তথ্যমতে জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। বে-সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের আইজিজি ও আইজিএম দিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে সকল ধরনের পরীক্ষার কোন সুযোগ নেই। জেলার কাঠালিয়া উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশ কয়েক বছর যাবত বন্ধ রয়েছে প্যাথলজি বিভাগ। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৮/৯ মাস যাবত প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে আসলে সে ডেঙ্গুর ভাইরাস আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রক্তের সিবিসি, এনএসওয়ান এন্টিজেন এবং এ্যান্টি ডেঙ্গু আইজিএম এবং আইজিজি পরীক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে সিবিসি ছাড়া অন্য টেস্টের জন্য যে কিডস প্রয়োজন তা এতদিন ঝালকাঠিতে ছিল না, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এসেছে। তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দুইজন, রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫জন এবং নলছিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া রাজাপুরের নার্গিস সুলতানা নামে একজন নারী ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজাপুরে এসেছিলেন তিনি বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। বর্তমানে সদর হাসপাতালে মিনারা বেগম নামে একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. উদয় কুমার মিত্র জানান, এখানে পরীক্ষা নিরিক্ষার ব্যবস্থা নেই। রোগীরা বাহির থেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে আনে। গত একসপ্তাহে ৫ জন রোগী এসেছে। বর্তমানে এক যুবক ভর্তি আছেন। বাকিদের বরিশালে রেফার্ড করা হয়েছে। রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান হাবিব সোহাগ জানান, বর্তমানে তার ক্লিনিকে একজন নারী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। গত এক সপ্তাহে তার ক্লিনিকে ১৫ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তারা কেউ রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেউ বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া রাজাপুর এ্যাপোলো হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ৫ জন রোগী পরীক্ষা নিরিক্ষায় সনাক্ত হয়েছে। কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার বলেন, এখানে কেউ ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়নি এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থা নেই। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায়ও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। গত চার দিনে দুই জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানাগেছে, গত ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চার দিনে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ওই ৮ জনের জ্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয় ও জালাল চৌকিদার নামের দুইজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া আমতলীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবরে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। তারা দ্রুত ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সাধারণ ওয়ার্ডে কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের জালাল চৌকিদার এবং ৫০১ নং কেবিনে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল সংলগ্ন এলাকার নিয়াজ মোর্শ্বেদ তনয় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মশারী খাটিয়ে শুয়ে আছে। জালাল চৌকিদার গ্রামের বাড়ীতে তিন দিন জ্বর নিয়ে গত বুধবার রাতে এবং তনয় আমতলী পৌর শহরের বাসায় চার দিনের জ্বর নিয়ে সোমবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
জালাল চৌকিদার বলেন, বাড়ীতে বসে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি। বাড়ীতে তিন দিন অপেক্ষার পরে বুধবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর পরীক্ষা করে দেখি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি। তিনি আরো বলেন, এখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলছি। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত দু’জনকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আশাকরি আমাদের পরামর্শ মতে চলছে তারা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শংঙ্কর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু জ্বর আমাদের এলাকায় ছড়িয়ে পরেছে। এ ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, গত চার দিনে আট জন রোগী জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের নিবির পর্যবেক্ষনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। তারা অনেকটা সুস্থ্য। আশাকরি দ্রুত তারা সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। এদিকে ভোলা জেলার স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ ২০৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক প্রচার অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে এক হাজার ৭৮টি প্রতিষ্ঠানে প্রচারকালে অংশ নেয় ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষার্থী। শুক্রবার ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, শিক্ষার্থীদের সচেতন করা গেলেই তারা তাদের বাড়ির লোকজনদের সচেতন করবে। বাড়ির আঙ্গীনায় কোথাও যেন পানি জমতে না পারে। পরিস্কোর পরিচ্ছন্ন রাখার পাশপাশি প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত হাত পা ঢেকে রাখতে হবে। ভোর ও সন্ধ্যার আগমুহুর্ত আলো আধারিতে এডিস মশা কামড় দেয়। ফলে এ সময় সচেতন থাকতে হবে। এদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভোলা হাসপাতালে ১৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেন। ভোলা হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর চিহ্নিত করণে উপকরণ আনা হয়েছে। প্রচারনা ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার, নার্সদের পাশপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। ওই সব টিম রাতদিন কাজ করছেন। বাপ্তা নাসরিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রচার কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ও সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার। এব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায়ই ১২০পিস করে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ এনএসওয়ান পরীক্ষার ডিভাইস প্রেরণ করা হয়েছে। কেউ বুধবার পেয়েছে আবার কেউ কেউ বৃহস্পতিবার পেয়েছে। এটা বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে নয়, বরং মন্ত্রনালয় থেকে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুরো বরিশাল বিভাগেই এই ডিভাইজ দিয়ে ডেঙ্গু সনাক্ত করা হচ্ছে।’