3:45 pm , July 28, 2019
কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥ বঙ্গোপসাগরে কুয়াকাটার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে ট্রলার বোঝাই করে জেলেরা ফিরছে আড়ৎ ঘাটে। মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। ট্রলার থেকে খালাস করা ও হাঁকডাক দিয়ে বেচাকেনার কাজে ব্যস্ত জেলে ও ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ ৬৫ দিন সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার পর জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়ায় মৎস্যজীবিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। আড়ত গুলোতে ফিরে এসেছে কর্ম চাঞ্চল্যতা। জেলেরা জানান, দুইমাস জেলে ও মৎস্যজীবিরা বেকার ছিল। ভরা মৌসুমের অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় জেলেদের মাঝে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছিল। হঠাৎ করে সমুদ্রে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরার খবরে তীরে থাকা জেলেরা গভীর সাগরে ছুটছে। সরেজমিনে দেখা গেছে,মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর ও কুয়াকাটা আড়ত গুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বইছে। মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের যেন দম ফেলার সময় নেই। সাগর থেকে একের পর এক ইলিশ ভর্তি করে নিয়ে ট্রলার আসছে আর শ্রমিকরা ট্রলার থেকে মাছ খালাস করে আড়ত গুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। আড়তদাররা খোলা ডাকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। এসব মাছ পিকআপ, ট্রাক ও পরিবহন যোগে দেশে বিভিন্ন বাজারে চালান করতেও দেখা গেছে। এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় এক দিনেই দাম বেশ কমেছে।
মৎসবন্দর মহিপুরের আল্লাহরদান মৎস আড়তের মালিক লুনা আকন জানান, মিয়া ফারজানা-৫ ট্রলারে ৮০মন ইলিশ নিয়ে বন্দরে ফিরে এসে ১৩লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করেছে। অপর একটি মাছ ধরা ট্রলার এফবি অপু ১৫০মন মাছ শিকার করেছে। যা বিক্রি হয়েছে ২৫লাখ টাকায়। তিনি বলেন,বর্তমানে মাছের প্রকারভেদে ১৬হাজার থেকে ২৫হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, বর্তমানে সাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে হঠাৎ করে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে জেলেরা তীরে ফিরে এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি জেলেদের জালে যে ইলিশ ধরা পরবে এতেই বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে আনতে পরবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, সাগরে অবরোধ থাকার কারনে মাছের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যেহেতু সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে, পাশাপাশি নদ-নদীতেও ইলিশ পাওয়া যাবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ আমদানি হলে দাম আরও কমবে বলে তিনি জানান।