3:39 pm , July 28, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগামী ৩১ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৮ তম বাজেট। আর এটাই হবে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র প্রথম বাজেট। তাই স্বপ্ন বিলাসী বাজেট নয়। বরং চলছে আয় নির্ভর উন্নয়নশীল বাস্তবমুখি বাজাটের শেষ প্রস্তুতি। যা ঘোষনা হবে নগরবাসির সামনেই। ৩১ জুলাই নগর ভবনের সামনে প্রথমবারের মত অস্থায়ী মঞ্চে মেয়র সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এই বাজেট ঘোষনা করবেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বাবলু এই তথ্য জানিয়েছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখানো বাজেট আসবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন বাজেটে নতুন করে কোন কর আরোপ হবে না। বরং নগরবাসির জন্য থাকবে অনেক সুখবর।
তিনি বলেন, ১৭ তম বাজেটের আকার ছিলো ৪৪৩ কোটি টাকা। তবে এবারের বাজেট আকার কি তা এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট হবে বাস্তব সম্মত। সিটি মেয়র নির্বাচনের পূর্বে কোন ইসতেহার দেননি। তিনি যেটা করবেন সেটাই ছিরো তার ইসতেহার। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বাস্তবমুখি বাজেট প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বেলায়েত হোসেন বাবলু বলেন, বাজেটে নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় এবং সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং খাল খনন ও পূনরুদ্ধারের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধণের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে। তাছাড়া মানুষের যা প্রয়োজন এবং যে চাহিদা রয়েছে বাজেটে সব বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকছে।
নগর ভবনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহনের গত প্রায় এক বছরে পাল্টে গেছে নগর ভবনের দৃশ্য। উন্নয়নের চিত্র ফুটে ওঠেছে নগরীর রস্তাÑঘাটে। বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ নেই কর্মচারীদের মধ্যে। নগরভবন কেন্দ্রীয় নাগরীক সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা মেয়র বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন নগরবাসি।
শুধু তাই নয়, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’র দক্ষ নির্দেশনা এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্ম পরিচালনার কারনে নগরভবন কেন্দ্রীক বেড়েছে রাজস্ব আয়। বিগত অর্থ বছরে কর আদায় শাখায় গৃহকর আদায়ের লক্ষ্য ছিলো ২৪ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৯ টাকা। আদায় হয় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৪ টাকা। আদায়ের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। যা ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৩ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৭৯৩ টাকা। সে হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
অপরদিকে ট্রেড লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানাগেছে, বিগত অর্থ বছরে ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৫২ টাকা। মোট লাইসেন্স রয়েছে ৯৩৫২টি। যারমধ্যে নবায়ন হয়েছে ৬৭৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্স হয়েছে ২৫৭৬টি। বর্তমান অর্থ বছরের চলতি মাসে সাড়ে ৭শ’ লাইসেন্স এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া আবেদন জমা রয়েছে আরো অসংখ্য।