কুয়াকাটা সৈকতে ছাতা-চেয়ার ব্যবসায়ীকে হত্যা কুয়াকাটা সৈকতে ছাতা-চেয়ার ব্যবসায়ীকে হত্যা - ajkerparibartan.com
কুয়াকাটা সৈকতে ছাতা-চেয়ার ব্যবসায়ীকে হত্যা

3:15 pm , July 27, 2019

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কুয়াকাটা ॥ কুয়াকাটায় সৈকতে হাকিম শরীফ (৫২) নামের এক ছাতা চেয়ার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার মধ্যরাতে হত্যা করা হয়েছে হাকিম শরীফকে। দীর্ঘদিন যাবত সে সৈকতে ছাতা চেয়ার ব্যবসা করে আসছিল। কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। নিহতের মাথায় ৩টি কোপের ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা ব্যক্তিগত দ্বন্দের কারনে হাকিম শরীফকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন তারা। প্রাথমিক সুরাত হাল শেষে ময়না তদন্তেরজন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। হাকিম শরীফের বাড়ি কুয়াকাটার দোভাসী পাড়া গ্রামে। দুই মেয়ে, দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। তার এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে পর্যটকরা সৈকতের পশ্চিম পাশে জিও টিউবের পাশে হাকিম শরীফকে পরে থাকতে দেখে ক্যামেরাম্যানদের জানান। ক্যামেরাম্যানরা মহিপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে মহিপুর থানায় নিয়ে যায়।
বীচে ছাতা চেয়ার ব্যবসায়ী মো.দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। এ সময় হাকিম শরীফকে সৈকতে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন তিনি। দেলোয়ার জানান, হাকিম শরীফ একজন ভালো লোক ছিলেন। তার সাথে সবার ভালো সম্পর্ক ছিল।
নিহতের বড় ভাই মন্নান শরীফ ও মনা শরীফ জানান, তার ভাই খুবই সহজ সরল মানুষ ছিল। জীবিকার তাগিদে সে সৈকতে ছাতা চেয়ার ভাড়ার ব্যবসা করছিল। তাদের ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হত্যাকারী খুঁজে বের করে শাস্তির দাবী জানান।
পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.মাহফুজুর রহমান বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। শুক্রবার মধ্যরাতে হাকিম শরীফকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে তার ধারণা ব্যাক্তিগত জেরের কারনে হত্যাকান্ড হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে বলে তিনি জানান।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT