3:07 pm , July 27, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একটি বৈদ্যুতিক খুটি’র জন্য প্রায় চার ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিলো গোটা নগরী। পুকুরে ভেঙে পড়া ওই খুটি উদ্ধারের জন্য দুপুর ৩টা হতে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা। বিকল্প ব্যবস্থা না করে গোটা বিদ্যুৎ সংযোগ দীর্ঘ সময়বন্ধ রেখে উদ্ধার কাজের কারনে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসিকে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতাল ও অফিস পাড়ায় ভোগান্তির শেষ ছিলো না।
বিদ্যুৎ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সম্প্রতি প্রবল বাতাসে নগরীর রূপাতলী পাওয়ার হাউস সংলগ্ন বিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙে পুকুরে পড়ে যায়। যা শনিবার বিকালে উদ্ধার করা হয়েছে। যার কারনে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিলো ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) অধিনস্ত মহানগর ও ঝালকাঠি’র একাংশের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় বৃহত্তর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) ও জেনারেল হাসপাতালের রোগী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় শেবাচিম হাসপাতালে বন্ধ ছিলো রুটিন অস্ত্রপচার।
তাছাড়া লিফট বন্ধ থাকার কারনে মুমূর্ষ রোগীদের দ্রুত ওয়ার্ড বা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়েছে। রোগী বহনকারী ট্রলি হাতে হাতে ধরে নীচ তলা থেকে ৫ তলায় উঠানো আবার মাথায় করে নামাতে হয়েছে খালি ট্রলি। এতে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যহত হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি’র বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেদুল ইসলাম বলেন, পাওয়ার হাউজের বৈদ্যুতিক ওই পুলটি পুকুরে ভেঙে পড়ে খুব খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ কারনে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরী হয়।
তাই শনিবার সকল গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ ওই খুটি উদ্ধার এবং পরে লাইন সংযোজন করা হয়েছে। এ জন্য দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। অবশ্য এ বিষয়ে ইতিপূর্বে মাইকিং করে গ্রাহকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎ বিভাগের এই কর্মকর্তা।