3:32 pm , July 22, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে খুন হতে হয়েছে গার্মেন্টস কর্মী আঁখি আক্তার ওরফে শারমিনকে। জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে না পেরে পরকিয়া প্রেমিক ঢাকা সদর ঘাটের ফল ব্যবসায়ী মো. সুমন (৩২) গলা টিপে হত্যা করে তাকে। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর পরকিয়া প্রেমিক সুমন ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। খুনী সুমন ভা-ারিয়া উপজেলার নকবুল্লাহ গ্রামের সিপাহীবাড়ীর বাসিন্দা মো. মানিক সিপাহীর ছেলে।
দুপুরে নগরীর রূপাতলীতে র্যাব-৮ সদর দপ্তরের মিডিয়া রুমে প্রেস ব্রিফিংএ র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেয়র খান সজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গার্মেন্টস কর্মী আখিকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম আরো জানান, সুমন ৭-৮ বছর ধরে ঢাকা সদর ঘাট ১ নং গেটে ফলের ব্যবসা করে। নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারির মেয়ে আঁখি আক্তারের সাথে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। উভয়ে নিজেদের বিয়ে এবং সন্তান থাকার কথা গোপন রেখে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি আঁখি নিজের প্রকৃত নাম গোপন রেখে শারমিন বলে পরিচয় দেয়। সুমনের বরাত দিয়ে উপ-অধিনায়ক বলেন, গত ১৯ জুলাই সুমন রাজধানীর সদর ঘাটে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিন ভাড়া নেয়। এ সময় তার সাথে আঁখিও ছিলো। রাত ১১টার দিকে সুমন অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় আঁখিকে। কিন্তু বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আঁখি। এজন্য তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সুমন। তখন আঁখি ডাক-চিৎকার শুরু করলে সুমন তার গলা টিপে ধরে। টানা দুই মিনিট তার গলা টিপে ধরার এক পর্যায় শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় আঁখির। লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে পৌছাবার পূর্বে পর্যন্ত লাশের সাথে কেবিনের মধ্যেই অবস্থান করে সুমন। ভোর রাতে লঞ্চ ঘাটে পৌছানো মাত্রই কৌশলে লঞ্চ থেকে নেমে পালিয়ে যায় সে। পরে নিজ বাড়ি ভা-ারিয়ায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেছিলো সুমন। ঘটনার ৩৮ ঘন্টার মধ্যেই র্যাব-৮ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুমনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পূর্বক রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।