3:13 pm , July 20, 2019
পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ উপজেলার নান্দুহার গ্রামে প্রতারক ভাতিজার খপ্পরে পরে হিমশিম খাচ্ছে চাচা কাজি আবুল কালাম আজাদের পরিবার বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা যায় আজাদ ২০১৭ সাল থেকে বিদেশে কর্মরত আছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে না আসলেও আজাদ কর্তৃক চেক প্রদানের দাবী করে গত ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় একই বাড়ির চাচাতো ভাই মোঃ আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। আর সে মতে আজাদের উদ্দেশ্যে উকিল নোটিশ প্রদান করা করেন গত ৭ মে। পিরোজপুর বিজ্ঞ জজ আদালতের আইনজীবি মোঃ আলাউদ্দিনের স্বাক্ষরিত নোটিশে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম দাবী করে, চলতি বছর ১৮ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংক মিয়ারহাট শাখায় আজাদের পরিচালিত হিসাব নংয়ের একটি চেক প্রদান করে আনোয়ারুল ইসলামকে।এদিকে আজাদ বলেন উল্লেখিত ঘটনার ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি বাংলাদেশের বাহিরে থাকলেও আমাকে মিথ্যে মামলায় জড়ানোর জন্য এ নোটিশ প্রদান করা হয়। আজাদ তার সপক্ষে জনশক্তি রপ্তানী ব্যুরো থেকে প্রদত্ব কাগজপত্রও প্রদান করেন এ প্রতিনিধির কাছে। আনোয়ারুলের কাছ থেকে আজাদের টাকা নেয়ার চুক্তিপত্রে দেখা যায় ২০১৪ সনের মার্চ ২৪ তারিখে তিন বছরের জন্য চার লক্ষ টাকা ধার নেন আজাদ। যা প্রতি মাসে ১৮ হাজার ৩৩৩ টাকা হিসেবে ছত্রিশ মাসে পরিশোধ করবেন আজাদ। কিন্ত চুক্তি পত্রে আনোয়ারুল ইসলাম চার লক্ষ টাকার সুদ সহ ছয় লক্ষ ষাট হাজার টাকা লেখেন।আজাদ বলেন ওই সময় আমার কাছ থেকে ইসলামী ব্যাংক মিয়ারহাট শাখার ০৯৭৯২৯০ ও ০৯৭৯২৮১ নং এ ২ টি চেক গ্রহন করেন জামানত হিসেবে আনোয়ারুল। সে হিসেবে ছ^ত্রিশ মাসে আমি সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করে দেই। এর মধ্যে ২ বছর পূর্বৈ ছুটিতে দেশে গিয়ে ভাইপো আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে জুয়েল এর কাছ থেকে চেকদুটো ফেরত চাই। কিন্ত তিনি আজ দেই কাল দেই করে সময় ক্ষেপন করে। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় চেক না পেয়ে পুনরায় বিদেশে চলে আসি। এর পর ভাইপো আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়ে চেকের বিপরিতে পূনরায় ছয় লক্ষ ষাট হাজার টাকা দাবী করে। বিষয়টি আমি আমার ভাইদের জানালে তারা আনোয়ারুলের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসার চেস্টা করেন।কিন্ত আনোয়ারুল তাদের সাথেও ঐদত্যপূর্ন আচরন করে। এদিকে আমি বিদেশে থাকায় আমার স্ত্রীকে আনোয়ারুল বিভিন্যভাবে হুমকী ধামকী দিতে থাকে যে তার দাবীকৃত টাকা না দিলে আমার পরিবারকে একের পর এক মামলা হামলা করে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে হুমকি দেয়। এ অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য আনোয়ারুল ইসলামের ০১৭১৮১৭৮৯৫৪ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি নিয়ে আজাদের বড় ভাই আব্দুল হাই বলেন সমসÍ টাকা পরিশোধের পর পূনরায় টাকা দাবী করে উকিল নোটিশ পাঠানো আইনের মাধ্যমে প্রতারনার ও চাঁদা বাজির আশ্রয়। যা আমাদের পুরো পরিবার ও বাড়ির জন্য মানহানিকর বলেই আমি মনে করি।