3:07 pm , July 20, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরে জুয়েলারী ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই ঘটনা ঘটে।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের শিরা কেটে গেছে। ফলে গুরুতর অবস্থায় অশোক চন্দ্র কর (৪৭) নামের ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি নগরীর নতুন বাজার পোস্ট অফিস গলির বাসিন্দা খিতিশ চন্দ্র কর এর ছেলে ও শহরের গির্জা মহল্লার নকশি জুয়েলাসের ম্যানেজার। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা সহ থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় হামলাকারীরা আটক বা কোন মামলা হয়নি।
আহত অশোক চন্দ্র কর জানান, ডায়াবেটিস এর রোগী হওয়ায় প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস্ পার্ক) হাটতে যান তিনি। হাটা শেষ করে উদ্যানের ডিসি লেকের পাড় সংলগ্ন বিশ্রামাগারে শরীর চর্চা করছিলেন। এসময় অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩/৪ জন লোক এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায়।
অশোক জানান, যারা হামলা চালিয়েছেন তাদেরকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে হামলাকারীরা ডন ও সুজন নামের দু’জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছে। যাদের সাথে তার পূর্বে থেকে ব্যবসায়ীক বিরোধ চলে আসছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আলেকান্দার বাসিন্দা আব্দুল খালেক এর ছেলে ডন ও সুজনদের ‘বরিশাল জুয়েলার্স’ নামক প্রতিষ্ঠানে ৩০ বছর ধরে ম্যানেজার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। সম্প্রতি তাদের দোকানের চাকরী ছেড়ে পার্শ্ববর্তী নকশি জুয়েলার্সের ম্যানেজার হিসেবে যোগদেন।
এতে ডন ও সুজনরা ক্ষুব্ধ হয়। এজন্য ইতিপূর্বে বহুবার তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছিলো। এর জের ধরে তারাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ অশোকের।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরেই অশোক চন্দ্র কর এর উপর হামলা করা হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা এই ঘটনা সাথে জড়িত কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মামলা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহতের পরিবারের কেউ থানায় আসেনি।