3:24 pm , July 19, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জের আরজীকালিকাপুর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর স্বজনরা হামলা চালিয়েছে সাক্ষী বৃদ্ধ খালেক ঘরামী (৭২) এর উপর। গতকাল বুধবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেলার পথে তাকে কুপিয়ে জখম করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর স্বজনরা। আহত বৃদ্ধ আব্দুল খালেক বাবুগঞ্জ উপজেলার আরজীকালিকাপুর গ্রামের মৃত মোমেন উদ্দিন ঘরামীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত’র ছেলে কুদ্দুস ঘরামী জানান, ২০১২ সালে খালেক ঘরামীর ভাই খলিল ঘরামীর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মুক্তা আক্তারকে একই এলাকার সেন্টুর ছেলে মনির ও কালাম এর ছেলে রুবেল ধর্ষণের পর শ^াস রোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত রোববার ওই মামলায় আদালত মনির ও রুবেলকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। কুদ্দুস ঘরামী জানান, তার বাবা মুক্তাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলায় মনির ও রুবেলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় আসামীর স্বজনরা বৃদ্ধ খালেক ঘরামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক রুবেলের মামা নান্নু আকন, মা কল্পনা বেগম ও তাদের সহযোগী জাকির হোসেন, আব্বাস ঘরামী সহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালেক ঘরামীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে আহতকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।