2:58 pm , July 17, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ডে পাশের হার বেড়েছে। পাশাপাশি দ্বিগুন বেড়েছে জিপিএ-৫। এ বছর বরিশাল বোর্ডের পাশের হার ৭০ দশমিক ৬৫। যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ১৫ ভাগ বেশি। সংখ্যানুপাতে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮৮৭ জন। যার মধ্যে ছেলেরা পাশ করেছে ২১ হাজার ২৫৪ জন এবং মেয়েরা পাশ করেছে ২৩ হাজার ৬২৯ জন। সে অনুযায়ী পাশের সংখ্যায় ছেলেদের থেকে ২ হাজার ৩৭৫ জন বেশি মেয়ে পাশ করেছে। তাছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো ৬৭০ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে মেয়ে ৭৩৫ জন ও ছেলে ৪৬৬ জন। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবার বরিশাল বোর্ডের আওতাধীন ৩৩০টি কলেজ থেকে মোট ৬৪ হাজার ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেন। যার মধ্যে বিভাগের ১১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন ৬৩ হাজার ৫৩৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ৩২ হাজার ২৩২ জন ও ছাত্রী ৩১ হাজার ৩০৬ জন।
তিনি বলেন, বিভাগ অনুযায়ী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৪ হাজার ১৮৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১১ হাজার ৬২০ জন। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮৩৫ জন।
মানবিক বিভাগে ৩৩ হাজার ৬৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২২ জাচার ৮৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮০ জন।
এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন ১৫ হাজার ৬৬৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১১ হাজার ১৮৪ জন। যার মধ্যে থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৮৬ জন।
অপরদিকে বরিশাল বোর্ডের অধীনে বিভাগের ৬টি জেলার মধ্যে পাশের হারে এগিয়ে বরিশাল জেলা। এই জেলায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ১৭ ভাগ। অখ্যানুপাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৫১ জন। এ জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮০ জন।
এছাড়া পাশের হারে সব থেকে পিছিয়ে পটুয়াখালী জেলা। এই জেলায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে পাশা করেছেন ৮ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৯৬১ জন ও মেয়ে ৪ হাজার ৭৯ জন। এদের মধ্যে থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১৪ জন। যার মধ্যে ছেলে ৪৩ জন ও মেয়ে ৭১ জন।
বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল অনেক ভালো হয়েছে। এর কারন স্মৃজনশিল পদ্ধতে শিক্ষার্থীদের উত্তরাত্তর পড়াশুনা, সমিতির বাইরে গিয়ে নিজস্ব ভাবে পরীক্ষার প্রশ্নতৈরী এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষের পৃথক মনিটরিং ব্যবস্থার করনেই ফলাফল তুলনামুলক অনেক ভালো হয়েছে।