2:49 pm , July 15, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ডিউটিরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করেছে যমুনা গ্রুপের একটি কাভার্ড ভ্যান। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাকে চাপা দেয়া কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) ও তার চালক আব্দুল জলিল সিকদারকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাফিক কনস্টেবল মামুন জানান, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চেক পোষ্ট স্থাপন করে যানবাহনের কাগজ পরীক্ষা করা হচ্ছিলো। এ সময় ঢাকা থেকে আসা বাকেরগঞ্জগামী যমুনা গ্রুপের ওই কাভার্ড ভ্যানটি সিগনাল অমান্য করে দ্রুত পালাবার চেষ্টা করে। তখন চেক পোষ্টে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে কাভার্ড ভ্যানটিকে ধাওয়া করে আটক করার চেষ্টা করে। ট্রাফিক সার্জেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় কাভার্ড ভ্যানটি অতিক্রম করে সামনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাভার্ড ভ্যান চালক তাকে চাপা দিয়ে পায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে যায়। এতে ট্রাফিক সার্জেন্ট ট্রাকের চাপায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন শেখ জানান, ঘটনার পর পরই জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানটি এবং দপদপিয়া’র সাবেক ফেরিঘাট এলাকা থেকে পালাবার সময় চালক আব্দুল জলিল সিকদারকে আটক করা হয়। পরে তাকে বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চেক পোষ্ট স্থাপন করে রুটিন কার্যক্রম চলছিলো। এসময় ওই কাভার্ড ভ্যানটি সিগনাল অমান্য করে পালাচ্ছিলো। সার্জেন্ট কিবরিয়া তাকে ধাওয়া করলে কাভার্ড ভ্যান চালক তাকে চাপা দিয়ে এক প্রকার পায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আপাতত সার্জেন্ট কিবরিয়াকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করছি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, সার্জেন্ট কিবরিয়ার অবস্থা বেশি একটা সুবিধার নয়। কাভার্ড ভ্যান চাপায় তার দুই পায়ের চার জায়গায় ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া দুই পায়ের মাঝ বরাবর পেলভিস ভেঙে গেছে। এতে তার মুত্রনালি ছিড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তবে এটা অস্ত্রপচার ছাড়া সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।