3:03 pm , July 13, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ রোকেয়া আজিম সড়কে জাল দলিল বানিয়ে এক অসহায় ব্যক্তির জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইন এবং বিচার সালিশ না মেনে অর্থের প্রভাবে জমির আংশিক দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি। শুধু অসহায় ব্যক্তির মালিকানাধিন জমিই নয়, ভূমিদস্যু নামে পরিচিত জব্বার ঘরামী পাশর্^বর্তী মসজিদের জমিও জবর দখল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী নগরীর হাসপাতাল রোডের জুতা ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন খান জানান, দীর্ঘ বছর পূর্বে ক্রয় সূত্রে রোকেয়াআজিম সড়কে সাহেবের পুকুর সংলগ্ন জামে মসজিদুল আলআকসার সামনে এক শতাংশ জমির মালিক হন। ২০০২ সালে আমানতগঞ্জ মৌজার ৯২/৯৩ দাগের ওই জমি’র খাজনা, পড়চা এবং দলীল মূলে মালিক ও ভোগ দখল করে আসছেন আলতাফ খাঁ। কিন্তু হঠাৎ করেই এলাকার ভূমিদস্যুখ্যাত জব্বার ঘরামী ভুয়া একটি মাঠ পড়চা দেখিয়ে আলতাফ খাঁ’র মালিকানাধীন ওই জমিটুকু জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। আলতাফ খাঁ বলেন, জবর দখল ঠেকাতে ইতিপূর্বে অর্থাৎ ২০১৭ সালে বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আলতাফ খাঁ’র পক্ষে রায় দেন এবং তাজে জমি ভোগ দখলের নির্দেশ দেন। সেই সাথে অবৈধ দখলদার জব্বার ঘরামীকে ওই জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এমনকি আদেশের পূর্বে কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল একই ভাবে আলতাফ খাঁ’র পক্ষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন।
কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশনাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখান জব্বার ঘরামী। তিনি সু-কৌশলে ২০১৮ সালে আদালত থেকে নিজের ভোগদখলের পক্ষে পাল্টা রায় নিয়ে আসে। এমনকি তিনি অর্থের প্রভাবে আলতাফ খাঁ’র দখলিয় সম্পত্তি জবর দখল করে সেখানে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে দেয়।
আলতাফ খাঁ অভিযোগ করেন, জব্বার ঘরামী একই দাগ থেকে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিন্তু বর্তমানে তিনি সেই জমির পরিমান দাবী করছে ১১ শতাংশ। এজন্যই তিনি পাশর্^বর্তী জামে মসজিদে আল আকসা’র কিছু অংশ এবং আলতাফ খাঁ’র এক শতাংশ জমির অর্ধেকটাই দখলের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকের প্রস্তাব দেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আলতাফ খাঁ এ প্রস্তাব মেনে নিলেও সালিশ মানেন না বলে এড়িয়ে যান জব্বার ঘরামী। উল্টো কাউনিয়া থানায় গিয়ে আলতাফ খাঁ’র বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ করেন। এসময় থানার ওসি দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিরোধী জমির পরিমানের জন্য বলেন। এতে আলতাফ খাঁ রাজী হলেও জব্বার ঘরামী’র আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ইতিপূর্বে জমি নিয়ে সালিশ করা হাজী মো. ফয়সাল হোসেন খোকন বলেন, আগেও বিষয়টি নিয়ে সালিশ হয়েছে। কিন্তু জব্বার ঘরামী কোন সালিশই মানছে না। এমনকি সর্বশেষ কাউনিয়া থানা পুলিশ আগামী শনিবার উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে থানায় বসার জন্য বলেছেন। সে সময় পর্যন্ত কোন বিরোধ না করে উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসেঙ্গ অভিযুক্ত জব্বার ঘরামী বলেন, আমার বৈধ দলিল রয়েছে। সেই দলিল মুলেই আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে জমি মাপার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আসলেই তাদের টাকা দিতে হয়। আগে বহুবার টাকা দিছি।
এখন আর টাকা দিতে পারমু না। যদি মাপঝোপ করতে হয় করুক। কিন্তু আমি কোন টাকা দিতে পারমুনা।