3:29 pm , July 7, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালের প্রভাব পরেনি নগরীসহ জেলায়। গতকাল রোববার সকাল থেকেই নগরীতে যানবাহন চলাচল পূর্বের মতই স্বাভাবিক ছিলো। তবে দিনভর বৃষ্টির কারনে মানুষের উপস্থিত কম ছিল। অবশ্য সকাল থেকেই অর্ধদিবস হরতার সফল করার লক্ষে নগরীর প্রান কেন্দ্র সদর রোড এলাকায় অবস্থান নেয় বাম পন্থি নেতারা। তারা বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে অবস্থান ও মিছিলের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ মিছিল পন্ড হয়ে গেলে সড়কের মধ্যে বসে পড়ে নেতা-কর্মীরা। এতে যানবাহন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বিঘিœত হলেও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তাছাড়া সকাল ৯টার পর থেকেই শহরের সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে আসা যাওয়ার পাশাপাশি অফিস পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক দিনের মতই ছিলো। এর আগে সকাল ৬টায় বরিশাল নগরীর সদর রোডের কাকলীর মোড় ও জেলখানার মোড় এলাকায় হরতাল সমর্থনে যানবাহন চলাচল না করার জন্য গণপরিবহন চালকদের আহ্বান জানান হরতালকারিরা।
এছাড়া সকাল সোয়া ৬টার দিকে শহরের জেলখানার মোড় এবং সকাল ৭টার দিকে কাকলীর মোড় থেকে লাল পতাকা হাতে মিছিল বের করে তারা। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ কাকলীর মোড়ে পৌছে মিছিলে বাধা প্রদান করে।
এরপর সকাল ৮টার দিকে পুনরায় কাকলীর মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করে বাম গণতান্ত্রিক যোগের নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশ পুনরায় বাধা দিতে গেলে এ নিয়ে হারতালকারি বামপন্থি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় নেতা-কর্মীরা লাল ব্যানার ও পতাকা হাতে সড়কের মধ্যে বসে পড়ে শ্লোগান দিতে থাকে। তবে সকাল ৯টার পর পরই পুলিশি হস্তক্ষেপে হরতালের প্রভাবমুক্ত হয় নগরী।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃ ও বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আমরা কোন প্রকার পিকেটিং করিনি। আমরা হরতালের বিষয়বস্তু সাধারণ জনগণ ও যানবাহন চলকদের বোঝাবার চেষ্টা করেছি।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, এ হরতালে প্রতিটি জনগণের সমর্থন থাকা উচিত। কেননা এ হরতাল রাষ্ট্রের প্রতিটি গনগণের জন্য। আজ গ্যামের দাম বেড়ে যাওয়ায় যানবাহনের ভাড়া, বিদ্যুৎসহ গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত প্রতিটি জিনিসের মূল্য বাড়বে। আর এর প্রভাব প্রতিটি মানুষকেই ভোগ করতে হবে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো, নরুল ইসলাম বলেন, নগরীতে হারতালের প্রভাব পড়েনি। সকালে বাম জোটের নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে চাইলেও প্রশাসনিক অনুমোদন না থাকায় তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। এছাড়া শহরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। নৌ পথে সকাল থেকে রোটেশন অনুযায়ী নৌযান চলাচল করেছে। তাছাড়া সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালকে ঘিরে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যদিও বৃষ্টির কারণে যানবাহন চলাচল এবং মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি।