রিফাত হত্যার ৬ ঘাতক এখনো ফেরারী রিফাত হত্যার ৬ ঘাতক এখনো ফেরারী - ajkerparibartan.com
রিফাত হত্যার ৬ ঘাতক এখনো ফেরারী

3:28 pm , July 7, 2019

সাঈদ পান্থ ॥ ১২ দিন পার হলেও বরগুনায় ঘটে যাওয়া চাঞ্চলকর রিফাত হত্যাকান্ডের ৬ ঘাতককে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী। ঘাতকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত স্বস্তি ফিরছে না পুরো বরগুনায়। এদিকে আত্মগোপণে থাকা ঘাতকদের কারণে চরম আতংকে রয়েছে হত্যাকান্ডের শিকার রিফাত শরীফ এর স্ত্রী মিন্নী ও তার পরিবার। যদিও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দিন রাত ২৪ ঘটনা পাহাড়া দিচ্ছে বরগুনা শহরের মাইঠা এলাকায় মিন্নীর বাড়িতে। আর এ জন্য মিন্নীর বাড়িতে অস্থায়ী নিবাস তুলছে সদর থানা পুলিশ। কিন্তু তার পরও ভিতি কাটছে না তাদের মনে। জানা গেছে, হত্যাকান্ডের ১২ দিন পার হলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে রিশান ফরাজী, মুসা, রাব্বি আকন, রকিবুল ইসলাম রিফাত, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত এবং রায়হান। ২৬ জুন সকালে মাত্র ২ মিনিটে বন্ড বাহিনীর প্রায় ২০ জন সদস্য এই হত্যাকান্ড চালায়। সর্বোশেষ একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও এর পর এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমনকি বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হাসানও এ তথ্যের সত্যতার স্বীকার করে বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে মামলার এজাহার ভুক্ত ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি মামলার ২ নম্বর আসামী ৭ দিনও বাকি ৩ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বাকি আসামীরাও পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে, খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে নিহত রিফাত শরীফ এর স্ত্রী মিন্নী ও তার পরিবার চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যদিও তার বাড়ির চারপাশে ২৪ ঘন্টা পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। তাদের বসার কোন স্থান না থাকার কারণে কাঠ ও টিন দিয়ে মিন্নীর বাড়িতে অস্থায়ী নিবাস বা ক্যাম্প তৈরি করেছেন বরগুনা সদর থানা পুলিশ।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এজাহার ভুক্ত ৬ আসামীসহ সন্দেহভাজন মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৬ জনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের কারণেই অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না।’ তিনি মিন্নীর বাড়িতে অস্থায়ী নিবাস সর্ম্পকে বলেন, ‘এখানে কোন ঘর তোলা হয়নি। আর এটা নিউজের কোন বিষয়ও নয়। মুলত বৃষ্টিতে বসার জন্য টিন দিয়ে একটি মাঁচা তৈরি করা হয়েছে।’ এব্যাপারে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি, তারা গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে (২৩) স্ত্রী মিন্নীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাতের মৃত্যু হয়। হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীর নাম বলেন। এই মামলার প্রধান আসামী নয়ন বন্ড ইতোমধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এর আগে গত ২৭ জুন সকালে নৃশংসের হত্যার শিকার রিফাত শরীফ’র বাবা আব্দুল আলিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামী করে বরগুনা সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT