3:06 pm , July 4, 2019
শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর ॥ প্রকাশ্য দিবালোকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটারসাইকেল যোগে আসা হেলমেটধারী চার যুবক এই ছিনতাই’র ঘটনা ঘটিয়েছে। বুধবার উজিরপুর উপজেলাধিন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের মেজর এমএ জলিল (শিকারপুর) সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ছিনতাই’র শিকার রিয়াজ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার ছিনতাইকারীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার বা ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ছিনতাই’র শিকার যুবক রিয়াজ মোল্লা গৌরনদী পৌর এলাকার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক’র মোবাইল ব্যাংকিং গৌরনদী উপজেলার সুপার এজেন্ট। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিয়াজ মোল্লা জানান, তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের গৌরনদীর বাটাজোর, সরিকল, চাঁদশি, বাকাইল ও গৌরনদী সদর এলাকার সুপার এজেন্ট। বুধবার বিকালে বাটাজোর, সরিকল ও গৌরনদী এজেন্টে কালেকশনের ১২ লাখ টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দিতে মোটরসাইকেল যোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
পথিমধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর ধানাধিন মেজর এমএ জলিল সেতুর টোল প্লাজা অতিক্রম করে ব্রিজের পার হওয়ার সময় চোখে ধুলা পড়ে। তাই ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে মোটরসাইকেলের থামিয়ে চোখ পরিস্কার করছিলাম।
হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পড়া চার ব্যক্তি কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিস্তল ঠেকিয়ে ১২ লাখ টাকা ভর্তি ব্যগ ছিনিয়ে নিয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেলস ম্যানেজার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উজিরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে রাতে বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিব উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (উজিরপুর সার্কেল) আকরাম হোসেন সহ উজিরপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, টাকা ছিনতাই’র খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশকে জানানো হয়। তারা তাদের আওতাধিন প্রতিটি এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী কার্যক্রম জোরদার করে।
ওসি বলেন, রিয়াজ মোল্লার বক্তব্য অনুযায়ী আগেও তিনি এর থেকে বেশি টাকা নিয়ে আসা যাওয়া করেছেন। কিন্তু তার সাথে এই ঘটনা প্রথম। আমরা মেজর এমএ জলিল সেতুর টোল প্লাজা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের চিহ্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ছিনতাইকারা হেলমেট পড়া থাকায় তাদের সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে তাদের গ্রেফতারে কিছুটা সময় লাগবে।