কৃষি ডিপ্লোমা ইনষ্টিটিউটের ছাত্র গ্রেপ্তার’র অভিযোগ, পুলিশের অস্বীকার কৃষি ডিপ্লোমা ইনষ্টিটিউটের ছাত্র গ্রেপ্তার’র অভিযোগ, পুলিশের অস্বীকার - ajkerparibartan.com
কৃষি ডিপ্লোমা ইনষ্টিটিউটের ছাত্র গ্রেপ্তার’র অভিযোগ, পুলিশের অস্বীকার

3:22 pm , July 3, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বরিশাল কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট’র (এটিআই) ছাত্র মাহাথির মোহাম্মদ বিন ফরিদকে (১৭) আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১ জুলাই রাত ৩টার দিকে এটিআই’র ছাত্রাবাস থেকে তাকে ধরে নেয়া হলেও বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ। ফলে এই ঘটনায় মহানগরীর বিমানবন্দর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এটিআই’র অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস ও শিক্ষার্থীর বাবা ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে ডায়েরী দুটি দায়ের করেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়া মাহাথির বিন ফরিদ গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি এলাকার বাসিন্দা এবং বরগুনার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। সে এটিআই’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এটিআই’র অধ্যক্ষের ডায়ের করা সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানাগেছে, গত ১ জুলাই রাত ৩টার দিকে সাদা পোশাকধারী ৭/৮ জন এটিআই’র ১ নম্বর গেটে এসে নিজেদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে দায়িত্বে থাকা দাড়োয়ান নুরুল ইসলামকে গেট গেট খুলে দেয়ার জন্য ধমন দেন।
দাড়োয়ান ভয়ে কর্তৃপক্ষকে কিছু অবগত না করেই গেট খুলে দেয়। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়া ব্যক্তিরা ছাত্রাবাসের ২০৬ নম্বর কক্ষ গিয়ে মাহাথির বরগুনার নয়ন বন্ডের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ ০০৭ এর সদস্য এবং সে রিফাত শরীফ হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত বলে দাবী করে।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে হোস্টেল থেকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এটিআই কর্তৃপক্ষ এবং মাহাথির পরিবার তার খোঁজ খবর নিতে বরগুনা ও বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় খোঁজ খবর নেয়। কিন্তু তারা মাহাথিরকে হোস্টেল থেকে ধরে আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এটিআই অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস বলেন, ওই রাতে ৭/৮ জন লোক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। যা সিসি টিভি’র ফুটেজ দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে পরে ২রা জুলাই এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নম্বর ১৩৮৮।
এদিকে মাহাথির বাবা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হোস্টেলে থেকে লেখা-পড়া করে। আমার জানামতে সন্ত্রাসী নয়ন বন্ডের সাথে তার চেনা জানা নেই। এমনকি রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের দিন মাহাথির বরিশালেই ছিলো। ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার সময় তিন মাসের মত বরগুনায় ছিলো। এর পরে সে বরিশালে চলে আসে। তাছাড়া ওকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে নেয়া হলে তবে সেটা গোপন রাখা হবে কেন বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি’র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাহাথির নামে কেউ আটক আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এখন একটি মিটিং-এ আছি’ বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
অপরদিকে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, এটিআই ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় অধ্যক্ষ ও তার বাবা দুটি ডায়েরীর আবেদন করেছেন। এর মধ্যে অধ্যক্ষের ডায়েরী গ্রহন করা হয়েছে এবং তার বাবার ডায়েরীর আবেদনটি নোট হিসেবে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যে রাতে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই রাতে এটিআই’র আশপাশে পুলিশের কোন অভিযান বা তল্লাশীও হয়নি। তাই শিক্ষার্থীকে ধরে নেয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT