অদক্ষতার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশিরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি অদক্ষতার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশিরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি - ajkerparibartan.com
অদক্ষতার কারণে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশিরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

3:19 pm , July 3, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সদর উপজেলার চরমোনাই’র চাঞ্চল্যকর দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজ (৪০) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হচ্ছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদকে। তদন্তে ধীরগতি এবং পলাতক আসামী মাসুমকে গ্রেফতারে ব্যর্থতা সহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোতয়ালী মডেল থানার চৌকষ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আলম মামুনকে এই মামলা তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানাগেছে।
এদিকে ঘটনার আড়াই মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত খুন হওয়া দলিল লেখক রিয়াজের বাড়ি থেকে জব্দকৃত মালামালের তালিকা বাদি পক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশির আহমেদ। এমনকি তার বিরুদ্ধে জব্দ তালিকায় মালামাল সহ অর্থের হিসাব গোপন ও আসামী পক্ষের সাথে গোপন সখ্যতা গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, সম্পত্তি আত্মসাত ও সার্বিক দিক থেকে সুখে থাকতে গত ১৮ এপ্রিল পরকিয়া প্রেমিক ও তার সহকারীকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে চরমোনাই’র বুখাইনগরের বাসিন্দা দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজকে খুন করে দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজা। ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে পুলিশ লিজাকে আটক করে। পরে স্বামীকে পরকিয়া প্রেমিক মাসুম ও ইদ্রিসকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর পর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে লিজাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার ৩২ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় ভ্যান চালক ইদ্রিসকে। যিনি এলাকায় হাইল্যা নামে পরিচিত। তবে তদন্ত কর্মকর্তা (আই.ও) এর অনভিজ্ঞতার কারণে এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে লিজার পরকিয়া প্রেমিক ও দলিল লেখক রিয়াজের সাবেক সহকারী মাসুম। বাদীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার পরে নিহতের ঘর থেকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ অনেক মালামাল জব্দ করেছে। যার মধ্যে অর্থ এবং স্বর্ণালংকারও ছিলো। কিন্তু বাদী পক্ষের কাছে এখনো ওই জব্দ তালিকা প্রকাশ করেনি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশির। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা রিয়াজ হত্যা মামলা নিয়ে কালক্ষেপন করছেন। মাসুমকে গ্রেফতারে তার জোরালো কোন ভুমিকা নেই। তাছাড়া আসামীর পরিবারের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার গোপন সখ্যতার অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন থানা কর্তৃপক্ষ। যদিও সিদ্ধান্ত হলেও এখনো তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বশির আহম্মেদই রয়েছেন। খুব শীঘ্রই তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে জানিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, আসামী গ্রেফতারে ব্যর্থ এবং তদন্তে ধীরগতির কারনে বশির আহমেদকে রিয়াজ হত্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে থানা সূত্রে জানাগেছে, এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এসআই ফিরোজ আলম মামুনকে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোন দিক নির্দেশনা পাননি বলে দাবী করেছেন এসআই মামুন। তিনি বলেন, রিয়াজের হত্যাকারী এখনো একজন পলাতক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলে অনেকটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। পুরো মামলা শুরু থেকে তদন্ত করতে হবে। তবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব দিলে সেটা অবশ্যই গ্রহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT