3:14 pm , June 29, 2019
গলাচিপা প্রতিবেদক ॥ গলাচিপার উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনীর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনদস্যুরা। প্রতিনিয়ত দিনে-দুপুরে গাছ কাটা হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অনেক সময় রহস্যজনক কারনে তারা দেখেও না দেখার ভান করেন। সূত্র জানায়, ১৯৭০ সালে সাগরপাড়ের উপকূলীয় গলাচিপায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃজন শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দ্বীপচরের প্রায় ৩০ হেক্টর এলাকায় ছৈলা, কেওড়া, গোলগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হয়। এখন চরের এসব চারা গাছ বেশবড় আকারের গাছে পরিণত হয়েছে। এতে ললুপ দৃষ্টি পড়েছে গাছখেকো বনদস্যু একটি চক্র চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গরুভাঙ্গা গ্রামের মৃত্যু-জব্বার হাওলাদারের ছেলে সোনা হাওলাদার সে গাছ কাটা একটি বাহীনি তৈরি করেছেন। তার বাহিনীতে কর্মরত আছেন অনেক সদস্য যাদের মধ্যে এরা উল্লেখযোগ্য নয়া হাওলাদারের ছেলে হিরন হাওলাদার, সোনা হাওলাদারের ছেলে ঝন্টু হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, ছানাউল হাওলাদার, তোতা হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার, মোঃ গিয়াস উদ্দিন। সরেজমিন অনুসন্ধান করে এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়, সব মূল্যবান বৃক্ষ নিধন অব্যাহত রয়েছে এই বনদস্যুরা।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব গাছ কাটা হচ্ছে। এ কারণে বনদস্যুরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। সাধারণ মানুষ বনদস্যুদের গাছ কাটতে বাধা দিলে উল্টো বন আইনে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দস্যুরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এছাড়াও বন বিভাগের কর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজি করছে। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে দুর্যোগ প্রবণ গলাচিপার উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের কোনো সুবিধা না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গলাচিপায় বন বিভাগের রেঞ্জ দফতর রয়েছে দুটি। এর আওতায় বিট অফিস রয়েছে ছয়টি। অভিযোগ রয়েছে, গত কয়েক বছর থেকে গলাচিপার বিভিন্ন চরের বন নিয়ে চলছে হরিলুট। বন বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের সহায়তায় এক শ্রেণির লোক অবাধে বন নিধন করছে।