3:19 pm , June 28, 2019
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ নানা কৌশলে ফাঁদে ফেলে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও তাতে সহয়াতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে একটি স্কুলের দুই শিক্ষককে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। এর আগে এলাকাবাসি শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে ধরে পিটুনি দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয় সহায়তার অভিযোগে। র্যাব-১১ এর জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, “শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত অক্সফোর্ড স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং স্কুলের বাইরের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে আমারা প্রমাণ পেয়েছি।” পঞ্চশ শ্রেণি থেকে শুরু দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পর্যন্ত তার যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান। আলেপ উদ্দিন বলেন, আটক শিক্ষক আরিফুল ইসলামের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের ছবি এবং আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। তাকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়েছে। “ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া কোনো ভুক্তভোগী চাইলে ধর্ষণের মামলাও করতে পারবে।” এদিকে, সকাল থেকে অক্সফোর্ড হাই স্কুল ঘিরে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, দুই দিন আগে অক্সফোর্ড হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার বাবা-মা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। “পরে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে ধরে তার মোবাইল ফোন সার্চ করে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখতে পায় এবং ওই শিক্ষার্থীর অভিবাবকরা বিষয়টি র্যাবকে জানান।” মিজিমিজ এলাকার বাসিন্দা ও অক্সফোর্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই নিরাপদ মনে করে; কিন্তু স্কুলের শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে তার চেয়ে দুশ্চিন্তার আর কিছু নেই।” তিনি এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন পারভেজ বলেন, ওই শিক্ষকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।