3:36 pm , June 25, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ টানা ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূণর্বহাল করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ৫শ শয্যার এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন প্রায় দেড় হাজার রোগীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। হাসপাতালের জরুরী ও নিয়মিত অস্ত্রপাচারও চালু করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মহানগরীর রূপাতলী ৩৩কেভী সাব-স্টেশনের কন্ট্রোল রুম সংলগ্ন ওজোপাডিকো’র সার্কিট হাউজ ফিডারের ১১ হাজার ভোল্টের তার ছিড়ে মেডিকেল এক্সপ্রেস ফিডারের ১১কেভী লাইনের ওপর পড়ায় বিকট শব্দের বিস্ফোরনের সাথে একযোগে মেডিকেল, মেডিকেল এক্সপ্রেস. আলেকান্দা, সার্কিট হাউজ, সিএন্ডবি ও হাতেম আলী কলেজ ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নগরীর অন্তত দেড়লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। নগরীর বেশীরভাগ এলাকায় মঙ্গলবার সকালে পানি সরবরাহও বিঘিœত হয়। সকালের ঐ দূর্ঘটনার আধা ঘন্টা পরে ওজোপাডিকো’র মেইনন্টেনেন্স টিম রূপাতলী সাব-স্টেশনে পৌছে পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে মেডিকেল এক্সপ্রেস ফিডারটি বাদে অন্য সবগুলো লাইন সকাল পৌনে ৮টার দিকে চালু করতে সক্ষম হলেও দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠনটির বিদ্যুৎ সরবরাহ পূণর্বহাল করতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
তবে কি কারনে সার্কিট হাউজ ফিডারের ১১ হাজর ভোল্টের তার ছিড়ে মেডিকেল এক্সপ্রেস ফিডারটির ওপর পড়ল, তা বলতে পারেননি দায়িত্বশীল মহল। একাধীক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবেই এধরনের দূর্ঘটনা এ নগরীতে এখন নিত্যকার ঘটনা। এমনকি আকাশে মেঘ জমলেই বরিশাল মহানগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সাধারন গ্রাহকদের অভিযোগ, ‘সাম্প্রতিককালে বরিশাল মহানগরীর বিদ্যুৎ বিতরন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সর্বকালের নাজুক পর্যায়ে’ । নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামতের অভাবেই এনগরীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক পল্লী এলাকার চেয়েও করুন বলে অভিযোগ সবার। এমনকি সারা দেশের কোথাও ঘাটতি না থাকলেও এ মহানগরবাসী নিয়মিত বিদ্যুৎ সংকটে আছেন।
ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী-ওজোপাডিকো গঠনের পরে এর কর্মকতা-কর্মচারীদের বেতন প্রায় তিনগুন বৃদ্ধির সাথে বিদ্যুতের দামও প্রায় আড়াইগুন বাড়লেও কোম্পানীটির গ্রাহক সেবার মান ক্রমশ তলানীতে ঠেকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেদিকে নজর দেয়ার সময় নেই কর্তাদের। এ অভিযোগ এ মহানগরবাসীর