3:31 pm , June 23, 2019
রাজাপুর প্রতিবেদক ॥ মাদ্রাসা ছাত্রীদের উত্যক্ত করা ও মাদ্রাসার চেয়ারে বসে বখাটেপনা করায় ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের নারিকেল বাড়িয়া জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির মো. সাব্বির হোসেনের (১৪) কব্জি কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফোরকান হোসেনের বিরুদ্ধে রোববার রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই ছাত্রকে চিকিৎসাধীন দেখা গেছে। আহতসাব্বির নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. আবদুল আলিমের ছেলে ও শিক্ষক ফোরকান হোসেন একই এলাকার মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ১২ জুন (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে জাফরাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ভার নেন এবং স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ^াস দেন ওই শিক্ষক। কিন্তু আট ৮ দিন পর শিক্ষার্থীর ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিলে গত শুক্রবার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত শিক্ষার্থী সাব্বিরকে ভর্তি করে তার পরিবার। চিকিৎসাধীন সাব্বির হোসেন অভিযোগ করে জানান, মাদ্রাসার দরজা-জানালা না থাকায় ঘটনার দিন সাব্বির দুই বন্ধুকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসেছিলাম। এ সময় হুজুর এসে চেয়ারে বসার কারণে আমাদের গালমন্দ করেন এবং চড়থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে হুজুরের হাতে থাকা দা দিয়ে তাকে কোপ দিলে তা থামাতে গিয়ে বামহাতের কব্জি কেটে যায়। সাব্বিরের মা তাসলিমা বেগম জানান, শিক্ষকের দায়ের কোপে আহত হওয়ার পর স্থানীয় ফার্মেসিতে চিকিৎসা করানোয় ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র সাব্বির তার অন্য এলাকার কয়েকজন বখাটে বন্ধুদের নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিনও অন্য এলাকার বখাটে বন্ধুদের নিয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকদের চেয়ারে বসে ওখান থেকে আসা-যাওয়া ছাত্রীদের উত্যক্ত, আড্ডাবাড়ি ও বখাটেপনা করছিলো। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক ফোরকান হোসেন জানান, তিনি সাব্বিরকে কোপ দেননি। ঘটনার দিন মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মাদ্রাসার পাশের একটি সবজি ক্ষেতে আমি কাজ করছিলাম। তখন মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষকদের চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ে গান-বাজনা করছিল সাব্বির ও তার অন্য এলাকার ২ বন্ধু। সাব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যাক্তের অভিযোগ থাকায় সেখানে গিয়ে সাব্বিরকে গালমন্দ করি চলে যেতে বললে সাব্বির তার ও তার বন্ধুরা চড়াও হলে কথাকাকাটির এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা দায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাব্বিরের হাত কেটে যায়। সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত ওর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন বলেও জানান তিনি। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।