গুজব ছড়িয়ে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে লাশ ছিনতাই গুজব ছড়িয়ে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে লাশ ছিনতাই - ajkerparibartan.com
গুজব ছড়িয়ে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে লাশ ছিনতাই

3:21 pm , June 22, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গুজব ছড়িয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফিল্মি স্টাইলে লাশ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের কতিপয় লোক লাশ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিস সূত্রে জানাগেছে, নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডস্থ রূপাতলী সোনারগাঁ টেক্সটাইল মিল এলাকার বাসিন্দা মনির হাওলাদার নিজ ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি ওই এলাকার আব্দুল ছত্তার তালুকদারের ছেলে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল সাকিব মৃতঘোষনা করেন। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ব্রাদাররা জানান, নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠে মৃত্যু হওয়া মৃতদেহ আইনি প্রক্রিয়ায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ক্ষেত্রে ময়না তদন্তও করা হতে পারে। সে জন্য মৃতদেহ হাসপাতালের লাশ ঘরে প্রেরন করা হয়। তারা বলেন, মৃতদেহের সাথে আসা কতিপয় ব্যক্তি লাশ ঘরে মৃত মনির নরে উঠছে বলে গুজব ছড়ায়। মুহুর্তের মধ্যে বেধে যায় হট্টগোল। তারা লাশ ঘর থেকে মনিরের মৃতদেহ বের করে পুনরায় জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। তখনও জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন। তখন নিহতের সাথে থাকা স্বজন ও এলাকার লোকেদের তোপেরমুখে পড়ে চিকিৎসক সহ জরুরী বিভাগে দায়িত্বরতরা। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই ফিল্মি স্টাইলে লাশ নিয়ে চলে যান তারা। ঘটনাস্থলে থাকা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই তানজিল বলেন, নিহতের স্বজনরা প্রথমে গুজব ছাড়ায়। পড়ে তারা ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ নিয়ে যেতে যায়। তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় লাশ নিতে বললেও কাজ হয়নি। পরে রাতেই লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT