3:22 pm , June 20, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শনিবার (২২ জুন) দেশব্যাপি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন সারাদেশের ন্যায় বরিশাল সিটি সহ জেলায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৩ শিশুকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যার মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৯ হাজার পাঁচশ এবং জেলার ১০টি উপজেলায় ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৬৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টায় নগর ভবনে তৃতীয় তলায় সেমিনার রুমে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিসি’র সচিব ইসরাইল হোসেন বলেন, ২২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৫শ শিশুকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
এর মধ্যে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫ হাজার ২০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৪৪ হাজার ৪৮০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ইন্টারন্যাশাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি করে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ওই দিন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি ও বেসরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৫শ কর্মী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।
বিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, বিশ^ বাজারে এবার লাল রং এর ২ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাপসুলের সংখট রয়েছে। তাই বাংলাদেশেও লাল রংয়ের ক্যাপসুলের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ডে বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে লাল রংয়ের ক্যাপসুল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তাই এসব জায়গায় ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, কোন শিশুকে খালি পেটে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। গরম থাকায় টিকা খাওয়ানোর পর শিশুদের বমি বমি ভাব হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে তা ঠিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফয়সাল, ডা. মঞ্জুরুল আলম শুভ্র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত বাবলু উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ভাটারখাল এলাকাধিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, জেলার ১০টি উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৮৬৭ জন শিশুকে নীল রং এর এক লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ও ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬ জন শিশুকে লাল রং এর ২ লাখ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪০টি টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করবে ৪ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক।