3:12 pm , June 18, 2019
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ আগামী ৫ বছরে দেশে ইলিশ আহরণের পরিমাণ বেড়ে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে যেখানে ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা হয়েছিল, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন হয়। বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। দিনের কার্যসূচির শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমের ফলে প্রতিবছর ইলিশ আহরণের পরিমাণ বাড়ছে। নিম্ন মেঘনা থেকে জাটকা এখন পদ্মা, যমুনা, বহ্মপুত্র, সুরমায় বিস্তৃতি পেয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৭-২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে জাটকার পরিমাণ প্রায় ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭-২০১৮ সালে ২২ দিন ‘মা’ ইলিশ রক্ষায় ৪৭.৭৪% ‘মা’ ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “চলমান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরে ইলিশের মোট উৎপাদন বেড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।” ২০০২-২০০৩ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩২ মেট্রিক টন, ২০১২-২০১৩ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৪-২০১৫ পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৫-২০১৬ পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৬-২০১৭ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৭-২০১৮ পর্যন্ত ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশেই আহরিত হয়। বাংলাদেশের ইলিশ সুস্বাদু। এর ব্যাপক চাহিদা ভারতেও রয়েছে। রপ্তানিতে বাংলাদেশি ইলিশের ব্র্যান্ডিংয়ের সুবিধার জন্য ২০১৭ সালে এ মাছটিকে সরকার ‘ভৌগলিক নির্দেশক’ (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।