গঙ্গামতি সৈকতের প্রবেশদ্বারের রাস্তা সমতল ভূমিতে পরিনত গঙ্গামতি সৈকতের প্রবেশদ্বারের রাস্তা সমতল ভূমিতে পরিনত - ajkerparibartan.com
গঙ্গামতি সৈকতের প্রবেশদ্বারের রাস্তা সমতল ভূমিতে পরিনত

3:07 pm , June 18, 2019

এম মিজানুর রহমান বুলেট,কুয়াকাটা ॥ গঙ্গামতি। অপার সম্ভাবনায়ময় আরেকটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। গঙ্গামতি সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্থের মত মনলোভা দৃশ্য একনজর দেখার জন্য প্রতিদিন ভীড় করছে শতশত পর্যটক। কিন্তু ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আর ২ কিলোমিটার প্রস্থের এই সৈকতে যাওয়ার প্রবেশ দ্বারের রাস্তাটি এখন সমতল ভূমিতে পরিনত হয়েছে। আসা যাওয়ার সড়কটির এমন বেহাল দশার ফলে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা দ্বিতীয়বার আসতে অনিহা প্রকাশ করে এ সৈকতে। রাস্তাটি সংস্কারে উর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে পর্যটকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে গঙ্গামতি সৈকতের অবস্থান। এখানে রয়েছে বিশাল আয়তনের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ইতোমধ্যে পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির ২টি টিউবওয়েল, ২টি বাথরুমসহ পিকনিক স্পট। এছাড়া এখানে গড়ে উঠেছে পর্যটক নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পর্যটকরা দিনের আলোয় সবটুকু সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন ভিড় করছে এ সৈকতে। এতকিছুর পরও এ সৈকতের প্রবেশদ্বারের রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, গঙ্গামতি সৈকতের বালুতটে লাল কাকড়ার লুকোচুরি দূর থেকে দেখলে মনে হবে পর্যটকদের অভ্যর্থনার জন্য যেন সৈকত জুড়ে লাল কার্পেট বিছিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটকদের এত সৌন্দর্য উপভোগ করার একমাত্র অন্তরায় হচ্ছে সৈকতে প্রবেশের রাস্তা। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার বা পাকাঁ করন করা হলে পর্যটদের পদচারনা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি মহিউদ্দিন মাছুম বলেন, জোয়ারের সময় কুয়াকাটা সৈকত পানিতে তলিয়ে থাকায় গঙ্গামতি সৈকতে পর্যটকদের পদচারনা ক্রমশ বাড়ছে। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের মত মনোরম দৃশ্য উপভোগ ছাড়াও বিস্তীর্ন সৈকতের বালুকা বেলায় লাল কাকড়ার নৃত্য ও প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে তৃতীয় বার এখানে টেনে এনেছে। তবে প্রবেশদ্বারের রাস্তাটির বেহাল দশায় পর্যটকদের উপস্থিতি দিনদিন কমে যাচ্ছে।
গঙ্গামতি বীচের দোকানী মো.ইউসুফ আলী খাঁন জানান, আজ পর্যন্ত রাস্তাটি পাঁকা হয়নি। রাস্তা পাঁকা না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও জেলেসহ পর্যটকদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আকন জানান, বালি দিয়ে রাস্তাটি কোনমতে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্ত ইটের গাইডওয়াল না দিতে পারায় রাস্তাটি সমতল ভূমিতে পরিনত হয়েছে। ইট দিয়ে রাস্তা করার মত বরাদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলৗ মো.আবদুল মান্নান জানান, গঙ্গামতির সৈকতের প্রবেশদ্বারের কাঁচা রাস্তাটি পাঁকা করার স্কিম পাস হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT