সদর উপজেলার একটি পদের জন্য লড়বেন ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার একটি পদের জন্য লড়বেন ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী - ajkerparibartan.com
সদর উপজেলার একটি পদের জন্য লড়বেন ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী

3:05 pm , June 18, 2019

খান রুবেল ॥ আগামী ২১ ও ২৮ জুন বরিশাল জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। জেলার ১০টি উপজেলায় ৬২ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনের কথা রয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধলক্ষাধিক হলেও শূণ্য পদ মাত্র ২শ’র মত। যার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার ১টি শূণ্য পদের জন্য লড়বেন ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসলেও হতাশা কাটছে না পরীক্ষার্থীদের। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল জেলায় মোট ১ হাজার ৫৮১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূণ্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হবে আগামী ২১ ও ২৮ জুন। এরই মধ্যে সকল আয়োজন প্রায় সমাপ্তের পথে। বরিশাল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সদর উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৩টি। যার মধ্যে সহকারী শিক্ষকের পদ ১ হাজার ১৯৩টি। এই উপজেলায় শিক্ষকের কোন পদ খালি নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র নগরীর বানিমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১টি পদ শূণ্য রয়েছে। অথচ ওই একটি পদের বিপরিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার। এদের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র  এক জনেরই নিয়োগ হবে। বাকিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে মন্ত্রনালয়।
তিনি বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। জেলা অফিস থেকে নিয়োগ দিয়ে আমাদের কাছে প্রেরন করেন আমরা শুধু যোগদান দেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি উপজেলা পর্যায়ে হয়ে থাকে তবে যে উপজেলা যে কয়টি পদ শূণ্য সে কজনকেই নিয়োগ দেয়া হবে। আর যদি জেলার মধ্যে হয়ে থাকে তবে এক উপজেলা থেকে একাধিক ব্যক্তির নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. আবু জাফর বলেন, বরিশাল সদরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ধোকাবাজী হচ্ছে। কেননা নগরী সহ সদরের কোন স্কুলেই শিক্ষকের পদ খালি নেই। বাইরের জেলা থেকে শিক্ষকদের এনে শূণ্য কোটা পুরন করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতে শিক্ষকের যোগদান বা বদলি না করা হয় সে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ আন্দোলন করেছিলো। কিন্তু আমাদের সেই দাবি মানা হয়নি। বরং ১০ ভাগের স্থলে ২০ ভাগ শিক্ষক বাইরের জেলা থেকে এনে নিয়োগ দিয়েছে। যে কারনে স্ব স্ব জেলার নাগরিকরা শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী আল আমিন জুয়েল বলেন, বরিশাল সদর উপজেলা থেকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আমরা চারজন আবেদন করেছি। কিন্তু এখন যা দেখছি এবং শুনছি তাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়াটাই ঠিক হবে না। পরীক্ষার প্রবেশপত্র উত্তোলন এবং কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার জন্য যে রিকসা ভাড়া দিতে হবে সেটা লোকশান। কেননা শুনেছি সদরে শিক্ষকের একটি মাত্র পদ শূণ্য। ওই একটি পদের জন্য হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে। তাই শেষ পর্যন্ত আমরা পরীক্ষা দিতে যাব কিনা সে বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.আর মিজানুর রহমান জানান, বরিশালের ১০টি উপজেলায় শিক্ষকের পদ তেমন একটা খালি নেই। সব মিলিয়ে ২শত’র মত পদ শূণ্য রয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যক পদের জন্য আবেদন করেছেন ৬২ হাজার পরীক্ষার্থী। আগামী ২১ ও ২৮ জুন দুই ধাপে ৩২টি কেন্দ্রে তাদের নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করা হবে।  তিনি বলেন, ১০ উপজেলার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় শূণ্য পদ সব থেকে কম। বাকি ৫টি উপজেলা মিলিয়ে প্রায় দুইশ’র মত শূণ্য। নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন মেধা অনুযায়ী শূণ্য পদে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। তাছাড়া নিয়োগ কার্যক্রমের মধ্যে নতুন করে কোন পদ শূণ্য হলে বা কেউ বদলি হয়ে গেলে সেই পদে নতুনদের দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে এক উপজেলায় নিয়োগ পরীক্ষা দেয়া ব্যক্তিরা অন্য উপজেলায় যোগ দিতে পারবে না। কেননা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্ব স্ব উপজেলার নাগরিকদের সুযোগ করে দিতে উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT