3:10 pm , June 17, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাশিপুরের লাকুটিয়া পিআরসি ইনস্টিটিউটের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ও একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শ্রমিক সুমন চৌকিদার ও তার ৫ ভাইসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার এসআই দিপায়ন বড়াল এ চার্জশীট জমা দেন। অভিযুক্ত সুমন চৌকিদার পটুয়াখালী দশমিনা কাটাখালি এলাকার আলী আকবরের ছেলে। এছাড়া অন্যান্যরা হলো একই জেলার গলাচিপা উত্তর চরবিশ্বাসের নুরু হাওলাদারের ছেলে ইমাম হোসেন, সুমন চৌকিদারের ভাই মারুফ চৌকিদার, হাসান চৌকিদার, মামুন চৌকিদার, সোহেল চৌকিদার, রাকিব চৌকিদার। আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছর ২০ জানুয়ারী সকালে ৭ম শ্রেণীর ওই ছাত্রী স্কুলে যায়। প্রতিদিনের মতো বিকেলে সে ¯কুল থেকে ফিরে না এলে অভিভাবকরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। এছাড়া স্কুল খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে ছাত্রী স্কুলে যায় নাই। এঘটনায় ২২ জানুয়ারী এয়ারপোর্ট থানায় ছাত্রীর মা মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সাধারন ডায়েরী করেন। এরপরেই এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঢাকা পশ্চিম কাফরুল মোল্লা পাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। পর দিন বেলা সাড়ে ১১টায় ওই এলাকার আঃ মান্নানের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে সুমন চৌকিদারকে আটক করে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় ২৯ জানুয়ারী এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর মা সুমা বেগম। দায়ের করা মামলায় সুমন চৌকিদারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজাতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ঘটনার কয়েক মাস আগে সুমন চৌকিদার সুমা বেগমের বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোর কাজ করতে যায়। তখন ছাত্রীর সাথে সুমনের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমন বিবাহিত ও তার সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে বন্ধু ইমাম ও তার ভাইদের জানায়। ছাত্রীর পরিবার রাজী হবে না জেনে ইমাম ও তার ভাইরা তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করার বুদ্ধি ও পরামর্শ দেয়। এছাড়া সুমনকে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ছাত্রীকে ঢাকা নিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে ছাত্রী রাজী হলে ঘটনার দিন সকালে ছাত্রী স্কুলের সামনের পাকা রাস্তায় পৌছিলে সুমন ও ইমাম তাকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তারা ছাত্রীকে নিয়ে ইমামের পূর্ব থেকে ঠিক করে রাখা ঢাকার ভাড়াটিয়া বাসায় ওঠে। ওই বাসায় রেখে সুমন জোড়পূর্বক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া সুমনের ভাইরা নিয়মিত সংবাদ দিয়ে তাকে সহায়তা করতো। সার্বিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ৩০ মে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দিপায়ন বড়াল।