2:57 pm , June 13, 2019

ভোলা প্রতিবেদক ॥ ভোলায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর পৃথক ঘটনায় কাজী, বর কনে ও অভিভাবক সহ ৯ জনকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যামান আদালত। এর মধ্যে কাজী ইকবাল হোসেন, তার সহযোগী মো. হাছান ও বর মো. সজিবকে ৬ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বরকনে সহ আরও ৬ জনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা শহরের গাজিপুর রোডের কাজী অফিস ও ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে এদের আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. কাউছার হোসেন বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে এ জেল জরিমানার আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জানান, গাজিপুর রোডের সামসুদ্দিন মার্কেটের কাজী অফিসে বাল্যবিয়ের আয়োজন করে কাজী ইকবাল হোসেন ও তার সহকারী মো. হাছান। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে কাজী ইকবাল হোসেন, তার সহযোগী মো. হাছান বিয়ের পাত্র বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (১৯) ও একই এলাকার মফিজুল ইসলাম ফরাজির ১৫ বছরের মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ( নাম ফাতেমা আক্তার মিতু) তার মা নাছিমা আক্তারকে আটক করে। পরে কাজী, কাজীর সহযোগী ও বর সজিকে ৬ মাস করে কারাদ- দেন ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে পাত্রী ও তার মাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। পাত্র-পাত্রীর উভয়নের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের হলেও জেলা সদরে এসে গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে চেয়েছিল তারা।
এছাড়া ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বাল্যবিয়ে পড়ানোর সময় বর- কনে সহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে বর মো. সবুজ, কনের বাবা মজিদ উদ্দিন, চাচা নাজিম উদ্দিন ও মাইনুদ্দিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা রাখা হয়েছে। এ বছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করা কণের (নাম মুন্নি) বয়স ১৫ বছর। বর ও কনে একই বাড়ির ও পরস্পপর আত্মীয় বলে জানা গেছে।