3:19 pm , June 10, 2019
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম দফায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে সারাদেশে মোট ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৬ জন পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে আবেদন করেও ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৮১০ জন ভর্তিচ্ছু। তার মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী রয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ জন। রোববার (৯ জুন) দিবাগত রাতে সকল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পাচ্ছেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৬ জন আবেদন করেন। তার মধ্যে মোট ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৬ জন তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। পছন্দের কলেজে আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ থেকে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের সংখ্যাও কম নয়, মোট ৯৭ হাজার ৮১০ জন। জানা গেছে, ভর্তি বঞ্চিতদের মধ্যে মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী রয়েছে ৪ হাজার ৫৭২ জন। এদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১ হাজার ৮৪৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না। পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। মোট ১৪ হাজার ৫৩০ জন বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী রয়েছে ১ হাজার ২৪৩ জন। তার পরের অবস্থানে কুমিল¬া বোর্ডে ৮ হাজার ৬৯৩, এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া ৫২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজে মনোনীত হননি। একইভাবে সকল শিক্ষা বোর্ডেই ভর্তি বঞ্চিতের সংখ্যা রয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে ফল দেখা যাবে। আবেদনকারীরা রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের বছর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে তিনি কোন কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন তা জানতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমেও একাদশে ভর্তিচ্ছুদের ফল জানানো হবে। ভর্তির জন্য মনোনয়ন পাওয়া কলেজের নাম সোমবার (১০ জুন) মধ্যরাতের পর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের জানিয়ে দেয়া হবে। তবে প্রথম ধাপে যে সকল শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য মনোনীত হননি তারা দ্বিতীয় ধাপে আবারো আবেদন করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ। তিনি সোমবার বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীদের নজর থাকে শীর্ষমানের কলেজে ভর্তি হওয়ার দিকে। তবে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় অনেকে আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সারাদেশে পর্যাপ্ত আসন রয়েছে, কেউ এক ধাপে ব্যর্থ হলে পরের ধাপে আবেদন করতে পারবে। তবে প্রথম ধাপে শীর্ষমানের কলেজগুলোতে আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেকে ভালো ফল করেও সেসব কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।’ জানা গেছে, প্রথম দফায় মনোনীতদের ১১ জুন থেকে ১৮ জুনের মধ্যে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে টেলিটক বা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯৫ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তি নিশ্চিত করতে না পারলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। তার আবেদনটিও বাতিল হয়ে যাবে। গত ২৩ মে শেষ দিন পর্যন্ত ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও একটি মাদরাসা বোর্ডের অধীনে থাকা কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদন করেন প্রায় ১৪ লাখ ভর্তিচ্ছু। এদের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি এবং এসএমএসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছুক। শুধু ঢাকা বোর্ডেই ৩ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছুক একাদশে ভর্তির আবেদন করেছেন। আগামী ১৯ ও ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। আগামী ২১ জুন রাত ৮টার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে। ২২ ও ২৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। আগামী ২৪ জুন রাত ৮টার পর থেকে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৫ জুন রাত ৮টার পর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে। এ বছর মোট এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন।