2:58 pm , June 2, 2019
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনের চরকলমী ইউনিয়ন থেকে সরকারী ভিজিডি চাল ইউপি সদস্যের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার চরকলমী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিল ফরাজীর বাড়ির বসত ঘর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন অভিযান চালিয়ে ৪২ বস্তা (১২৬৮কেজি) সরকারী ভিজিডি চাল উদ্ধার করেন। এঘটনায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমেন্দ্রণাথ বিশ্বাস বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জলিল ফরাজীকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় মামালা দায়ের করেন। স্থাণীয়দের অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহাম্মেদের সাথে আতত করে ওই উদ্ধারকৃত ভিজিডি চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য ইউপি সদস্যে তার বাড়িতে মজুত করে রাখছেন। ইতিপুর্বে এভাবেই চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য জলিল ফরাজী মিলে অনেক চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ জানান, কি ভাবে ভিজিডির ওই চাল ইউপি সদ্যসের বাড়ি গেছে তা আমার জানা নাই। ভিজিডি চাল পরিষদ থেকে সঠিক ভাবেই বন্টন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জলিল ফরাজীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমেন্দ্রণাথ বিশ্বাস জানান, সরকারি ভিজিডি চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য ইউপি সদস্যের বাড়িতে গুদামজাত করে রাখা হয়েছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪২ বস্তা(১২৬৮কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শশীভুষণ থানায় মামালা দায়ের করা হয়েছে। চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, রুহুল আমিন জানান, ইউপি সদস্যে বাড়ি থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকৃত চাল গুলো কোথায় থেকে এনে কি কারনে মজুত করা হয়েছে তা জানায়নি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জলিল ফরাজীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সরকারী চাল মজুত করার মুল বিষয়টি জানাযাবে। শশীভুষণ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, সরকারী ভিজিডি চাল মজুত রাখার অপরাধে দন্ডবিধি আইনের ৪০৮ ও ৪২০ধারায় মামালা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।